দুর্নীতি দমনে চাই কার্যকর উদ্যোগ

হীরেন পণ্ডিত

ভালো-মন্দের বিচার ক্ষমতা দ্বারা যে বিবেক নির্ধারিত হয়, সে ব্যাপারে সবাই একই বিন্দুতে থাকবেন নিঃসন্দেহে- তা বলা সম্ভব, ভিন্ন বিন্দুতে থাকবেন ভালো-মন্দ আলাদা করা নিয়ে অর্থাৎ কোনটা ভালো ও কোনটা মন্দ সেটা নির্ধারণে ভিন্ন ভিন্ন মত থাকবে। এ ভিন্নতা হতে পারে ব্যক্তি, সমাজ, এলাকা, সময়, ঘটনা ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে। বিবেকের কাজ হলো কোনো কিছুর ভালো-মন্দ, সুবিধা-অসুবিধা, সক্ষমতাণ্ডঅক্ষমতা, নীতির কাছে সঁপে দিয়ে বর্তমানকে ভিত্তি ধরে ভবিষ্যৎ ভাবনাকে বিচার করে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে মানবসত্তাকে সহযোগিতা করা, কিন্তু আসল সিদ্ধান্তে আসতে হবে সত্তা নিজেকেই। আমরা প্রত্যেকেই দেশের শান্তির কথা বলি, সবার মিলনের কথা বলি, উজ্জ্বলতার কথা বলি, নীতির কথা বলি, সত্যের কথা বলি, সাফল্যের কথা বলি এমনকি এসব কথা শুনতেও পছন্দ করি, কাজের বেলায়ও এসবের তরে নিজেকে সঁপে দিতে ভালো লাগে, কিন্তু যখন দেখা যায়, অন্যের তুলনায় নিজের থলেটা তেমনভাবে পূর্ণ হচ্ছে না, তখনই বিবেক হয়ে ওঠে হিংস্র। আর যে শান্তি কিংবা অন্য ইতিবাচক কিছুর জন্য নিজেকে তুলে ধরা হয়েছিল, সেসব কিছু একটি অসুস্থ বিবেক এসে ঢেকে ফেলে যেমন করে মেঘ এসে আকাশের নীলকে অদৃশ্য করে দেয়, যা নিতান্তই কষ্টের জন্ম দেয় সবার।

এ দেশের মানুষের জাতীয় মুক্তি ও ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই দীর্ঘ সংগ্রামের চালিকাশক্তি ছিল একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজের স্বপ্ন। কিন্তু রাষ্ট্রের ৫০ বছরের ইতিহাসে সেই স্বপ্ন বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে, পথভ্রষ্ট হয়েছে। ১৯৭৪ সালের ২৫ ডিসেম্বরে জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘একটি সুখী ও সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়তে হলে দেশবাসীকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে হবে। কিন্তু একটি কথা ভুলে গেলে চলবে না, চরিত্রের পরিবর্তন না হলে এই অভাগা দেশের ভাগ্য ফেরানো যাবে কি না সন্দেহ। স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও আত্মপ্রবঞ্চনার ঊর্ধ্বে থেকে আমাদের সবাইকে আত্মসমালোচনা, আত্মসংযম ও আত্মশুদ্ধি করতে হবে।’

আইনকানুন, নিয়মনীতি, পরিকল্পনা ও বিভিন্ন কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে এবং তাদের বাস্তবায়ন অব্যাহত আছে; দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। কিন্তু সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু রাষ্ট্রীয় নিয়মনীতি, আইনকানুন প্রণয়ন ও প্রয়োগই যথেষ্ট নয়; তার জন্য সামগ্রিক এবং নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ প্রয়োজন। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সামগ্রিক উদ্যোগের সহায়ক কৌশল হিসেবে ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় : জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই কৌশলটি বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারিশিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। চরিত্রনিষ্ঠা আনয়নের জন্য মানুষের জীবনের একেবারে শুরু থেকে, পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতেই এগিয়ে চলছে সরকারের কার্যক্রম। এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যত প্রভাবশালী এবং সরকার কিংবা ক্ষমতাসীন দলের যত ঘনিষ্ঠই হন না কেন, ছাড় পাচ্ছেন না কোনো অপরাধীই। কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় নিতেও নারাজ সরকার ও দল। সরকারের এই কঠোর অবস্থান সুশীল সমাজসহ সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন বক্তৃতাণ্ডবিবৃতিগুলোতেও অনিয়মণ্ডদুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’-নীতির প্রতিফলন রয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। করোনা সংকট শুরুর পর থেকে বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে একের পর এক অনিয়মণ্ডদুর্নীতির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলার পাশাপাশি কঠোর হস্তে অনিয়মণ্ডদুর্নীতি দমনে জোর দেন তিনি। করোনাকালে দুর্নীতির জন্য স্বাস্থ্য খাতের কয়েকজন হর্তাকর্তার বিরুদ্ধেও নানা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। করোনাকালে ত্রাণ তৎপরতায় যেসব জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদেরও তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করে কঠোর বার্তা দিয়েছে সরকার। অনেকে প্রেপ্তারও হয়েছেন।

দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে এমন কঠোর অবস্থান আগে থেকেই ছিল। বিশেষ করে নির্বাচনী ইশতেহারে ‘দুর্নীতিমুক্ত সুশাসনের বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সচেষ্ট রয়েছে সরকার। আগে থেকে চলে আসা সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী অভিযানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান জোরদার রয়েছে। আমরা জানি সবার সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা রয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতি দমন করার জন্য। তবে আগে থেকেই যাতে এ ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করা যায়, সে বিষয়ে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্রিয় হওয়া উচিত। তাদের নজরদারি আরো কঠোর হওয়া দরকার। দুর্নীতি ও অনিয়মে যুক্ত ব্যক্তি যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া উচিত নয়- সেটাই সবার প্রত্যাশা।

তবু বলতে হয়, দুর্নীতি ও অনিয়ম এখনো বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা হলে একসময় সব লজ্জা কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশ উন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে- এটা সবাই বিশ্বাস করে। সরকারের গত ১২ বছরে দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে, এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কিন্তু এটাও সত্য, গত ১০ বছরে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রশ্নে সরকারের ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুণœ হয়েছে। দুর্নীতি দমনে প্রধান শর্ত হচ্ছে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। সবার বেলায় আইন সমানভাবে প্রয়োগ হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করা উচিত। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য তৈরির কথাও বলেছেন অনেকে। দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের কাজকর্মে পক্ষপাতিত্বের চিহ্ন ফুটে উঠলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য গঠন দুরূহ হয়ে উঠতে পারে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

দুদককে অবশ্যই স্বাধীন ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে যে দুর্নীতির বিস্তার হচ্ছে, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি চাইলে এর মূলোৎপাটন জরুরি। এজন্য শক্ত হাতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা ও সদিচ্ছা থাকা প্রয়োজন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মিডিয়ার ভূমিকা প্রশংসনীয়। উন্নয়নের জন্য যতগুলো বাধা আছে এদের মধ্যে দুর্নীতি অন্যতম। দুর্নীতি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক সমস্যা। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেও দুর্নীতি রয়েছে। অনেক দেশে সরকার এমনকি প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হয়েছে দুর্নীতির কারণে। বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসকে উন্নয়নের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশে কাজ হচ্ছে।

বাংলাদেশে দুদক আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অধিকতর তৎপর। দুদক শুধু দুর্নীতি দমনে তৎপর নয়, বরং সামাজিক তৎপরতার মাধ্যমে তারা জনগণকে দুর্নীতি প্রতিরোধে সম্পৃক্ত করছে। দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি নির্মূল করতে হলে পুরো সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, মিডিয়া সবাইকে সম্মিলিতভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঘৃণা সৃষ্ট করতে হবে। পাঠ্যপুস্তকে কিছু দুর্নীতিবিরোধী উপাদান সংযোজন করে শিশুদের মধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঘৃণা সৃষ্টি করতে হবে। দুদকের প্রচেষ্টায় এবং সবার সহযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে চিরতরে দুর্নীতি নির্মূলের চেষ্টা করে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করবে।

বাংলাদেশ জন্মলগ্ন থেকেই একটি সম্ভাবনাময় দেশ। কিন্তু দুর্নীতির কারণে আমরা সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারিনি। আজ দুর্নীতির কারণে আমাদের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি যেমন ব্যাহত একইভাবে অনেকের মধ্য থেকে সততা, নীতিনৈতিকতা ও মূল্যবোধ আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমাদের যে প্রবৃদ্ধি রয়েছে এর বাইরেও এ কথাটি নির্দ্বিধায় বলা যায় দুর্নীতি না থাকলে প্রবৃদ্ধি আরো বাড়তে পারত। সমাজের ওপর স্তরের ব্যক্তিদের এক বড় অংশ দুর্নীতির মাধ্যমে যে পরিমাণ সম্পদ আহরণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে এর যদি ব্যত্যয় হতো তাহলে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যেতে পারত। দুর্নীতি না থাকলে বাংলাদেশের চেহারার পরিবর্তন ঘটে বাংলাদেশ হতো এশিয়ার অন্যতম উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী রাষ্ট্র।

কিন্তু পরে দেখা গেল এ দেশের জনমানুষ আশাহত হয়েছে এবং দুর্নীতির মাত্রার এতটুকুও হ্রাস পায়নি বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর বৃদ্ধি ঘটেছে। নীতিনির্ধারকরা বলেন, অনেক বিষয়ে সফল হলেও দুর্নীতিরোধে সফলতা পাওয়া যায়নি। দুর্নীতিরোধে সফলতা না পেলে আমাদের পক্ষে কখনো প্রত্যাশিত পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হবে কি না এ বিষয়ে সংশয় রয়েছে। দুর্নীতিরোধ করতে হলে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবসহ ঊর্ধ্বতন পদে কর্মরতদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তদঅধীনস্থ বিভাগের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে আমরা যে চিত্র পাই তা হতাশাব্যঞ্জক। যেকোনো মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদে আসীন ব্যক্তি যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত করতে না পারবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তার পক্ষে অধীনস্থদের দুর্নীতিমুক্ত থাকার উপদেশ বাণী কোনো কাজে আসবে না।

দুর্নীতি দমনের জন্য সরকারিভাবে দায়িত্ব পালন করে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুর্নীতি বিষয়ে অভিযোগপ্রাপ্ত হলে দুদক তার অধীনস্থ কর্মকর্তা দ্বারা তদন্তের ব্যবস্থা করে। তদন্তে বস্তুনিষ্ঠতা পাওয়া গেলে এজাহার করা হয় এবং এজাহার-পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগপত্র করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এজাহারে উল্লিখিত আসামির সংখ্যার চেয়ে অভিযোগপত্রে উল্লিখিত আসামির সংখ্যা অনেক অধিক। দুদকের মামলা দালিলিক সাক্ষ্যনির্ভর হওয়ায় চূড়ান্ত বিচারে এসব মামলা থেকে বেকসুর খালাস পাওয়া সম্ভাবনার বিপরীত হলেও প্রায়ই দেখা যায় বেকসুর খালাসের ঘটনা ঘটছে। দুদকের মামলার সংখ্যানুপাতে সাজার হার খুবই কম এবং যেসব মামলায় এজাহার-পরবর্তী তদন্তকালীন এজাহারে উল্লিখিত নয়, এমন ব্যক্তির আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্তি ঘটে তাদের বড় অংশের ক্ষেত্রেই খালাসের ঘটনা প্রত্যক্ষ করা যায়। দুদকের মামলায় অধিকহারে সাজা নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ন্যায়নিষ্ঠভাবে তদন্তকার্য পরিচালনা করতে হবে এবং এজাহার-পরবর্তী শুধু অন্যায়ভাবে প্রত্যাশিত প্রাপ্তির আকাক্সক্ষা চরিতার্থ না হওয়ার কারণে নিরপরাধ ব্যক্তিকে অপরাধী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। দুদককে আরো শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারলে দেশ আরো এগিয়ে যাব।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *