হীরেন পণ্ডিত: দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচয় এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুবিধা পেতে গেলে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা আবশ্যক। আবার যারা নতুন পরিচয়পত্র করতে চান, তাদের অনেকেই এ বিষয় সম্পর্কে অবগত নন। অনেকে আবার জানেন না, কীভাবে পরিচয়পত্র করতে হবে, এ জন্য কোথায় যেতে হবে, কী কী প্রয়োজন ইত্যাদি। এছাড়া পরিচয়পত্রে নাম-ঠিকানা ভুল কিংবা ছবি খারাপ এসেছে এমন অভিযোগ অনেকের। সময় এসেছে এসব সংশোধনের।
২০১৬ সাল থেকে নির্বাচন কমিশন দেশের নাগরিকদের জন্য উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র তথা স্মার্টকার্ড প্রদান করছে। স্মার্ট কার্ড তৈরির আগে ল্যামিনেটিং করা কাগজের কার্ডের স্থলে প্রতিস্থাপিত হয়। এটি অনেক দিক থেকেই উন্নত। স্মার্টকার্ডের মধ্যে থাকা চিপ বা তথ্যভাণ্ডারে ১৮ ধরনের তথ্য সন্নিবেশিত করা হয় যা মেশিন রিডেবল বা পাঠযোগ্য। এতে তিনস্তরে মোট ২৫টি নিরাপত্তাবৈশিষ্ট্য সংযোজিত হয়েছে। এই স্মার্টকার্ড ২২ ধরনের সেবা পাবার ক্ষেত্রে কাজে লাগছে।
স্বভাবতই স্মার্টকার্ড-প্রাপ্তি আনন্দের বিষয়; কিন্তু অভিযোগ রয়েছে যে, অনেকে বহুদিন ধরে বহুল প্রত্যাশিত স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন না। এই সব ভুক্তভোগী নাগরিকের সংখ্যা কম নয়। মোট ভোটারের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ এখনও স্মার্টকার্ড থেকে বঞ্চিত। তাদের অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হয় না।
উপর্যুক্ত সমস্যার মূল কারণ হলো বিশেষত যারা প্রথম দিকে তথা ২০০৮ সালে ভোটার হয়েছিলেন, তাদের যে সকল তথ্য চাওয়া হয়েছিল, তা যথাযথভাবে পূরণ করা হয়নি। বলা হচ্ছে, সেই সকল ভোটারের ১৮ ধরনের তথ্য পূর্ণাঙ্গরূপে না থাকায় উন্নতমানের স্মার্টকার্ড প্রিন্ট করা যাচ্ছে না বলে অভিমত নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। স্মার্টকার্ড যেহেতু স্বয়ংক্রিয় মেশিনে প্রিন্ট হয়, তাই এই সকল জরুরি তথ্য না থাকলে সেটিকে মেশিন বা সিস্টেম ‘নট ফাউন্ড ডাটা’ প্রদর্শন করে।
যতক্ষণ পর্যন্ত এই সব তথ্য সংযোজিত না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত স্মার্টকার্ড প্রিন্ট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না; কিন্তু এর জন্য দায়ী কে বা কারা? মূলত এ-সংক্রান্ত প্রকল্পের প্রথমদিকে নানা ভুলভ্রান্তি ছিল। ছবির মান খারাপসহ কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফরম পূরণে অসতর্কভাবে বিভিন্ন ভুল তথ্য লিপিবদ্ধ করেন। তথ্যপ্রদানকারীরাও অনেক ক্ষেত্রে ভুল তথ্য দেন; কিন্তু সংশোধনের প্রক্রিয়া সহজ না করায় এর মাশুল নাগরিকরা এখনও দিচ্ছেন। এমন অভিযোগও রয়েছে যে, সংশোধনের জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করে জমা দেয়ার পরও অনেকে দিনের পর দিন স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন না।
যারা এখনও সংশোধনের জন্য সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রদানের জন্য নতুন করে ফরম পূরণ করেননি, তারাও এই ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, স্মার্টকার্ড সংগ্রহের সময় ব্যক্তির ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ স্ক্যান লাগে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় অফিসগুলোতে নাগরিকগণ যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবশ্যই তদারকি ও নজরদারি বাড়াতে হবে।
আবার নতুন প্রজন্মের ভোটাররাও সম্পৃক্ত হয়েছে এই স্মার্টকার্ডের কর্মকাণ্ডে। তারাও জীবনে প্রথম পাচ্ছে স্মার্টকার্ড। নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। জাতীয় তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত ১০ কোটির মধ্যে অনেকের স্মার্টকার্ড ছাপানোর প্রক্রিয়া শেষপর্যায়ে রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ভোটারের জন্য স্মার্টকার্ড ছাপানো হবে এবং প্রদান করা হবে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা ভুল তথ্য সংশোধন কিংবা যাচাই-বাছাই না করেই ছাপা হচ্ছে এই স্মার্টকার্ড। পরে এই কার্ড সংশোধন করতে হবে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে। ফলে আইডি কার্ড সংশোধনে হয়রানি আরও বাড়বে বললে অত্যুক্তি হবে না।
ইসি-সংশ্লিষ্টদের হিসাব অনুযায়ী, জাতীয় তথ্যভাণ্ডারে কমপক্ষে আড়াই কোটি ভোটারের তথ্যে বড় ধরনের ভুল রয়েছে। অনেকে অনুমান করছেন, এই সংখ্যা আরও বেশি। কেননা, ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো দেশে ছবিসহ ভোটার তালিকার প্রচলন হয়। প্রশিক্ষিত জনবল ও অভিজ্ঞতা না থাকায় ওই সময়ের এনআইডি কার্ডধারীদের তথ্যে গুরুতর ভুল রয়ে যায়। তবে ভুলযুক্ত কার্ডধারীর প্রকৃত সংখ্যা কত, এর হিসাব নেই ইসির কাছে। এ ছাড়া ওই সময়ে যারা ভোটার হয়েছেন, বিগত বছরগুলোতে তাদের ব্যক্তিগত তথ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে।
এখন নাগরিকদের কাছে যে কার্ড রয়েছে, তা জমা নিয়ে পর্যায়ক্রমে সব নাগরিককে স্মার্ট এনআইডি দেয়া হবে। প্রথমবার বিনামূল্যে দেয়া হলেও পরে সংশোধন করতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে হবে।
২০০৭ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি মানুষ এনআইডি সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন। তবে এখনও ১ লাখ ৭০ হাজার আবেদন রয়েছে ইসির হাতে। এ ছাড়া নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের গেজেট জারির কারণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এনআইডি সংশোধনের হিড়িক পড়ে। ইসির এনআইডি উইংয়ের কর্মকর্তারা বলছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্ডে সংশোধন করা হয়েছে।
সব নাগরিককে কার্ড না দেয়া পর্যন্ত এটি বাধ্যতামূলক না করার বিধান জাতীয় পরিচয়পত্র আইনেই রয়েছে। দেশে এখনও প্রায় এক কোটির বেশি নাগরিককে কার্ড দেয়া সম্ভব হয়নি বলে বলে জানা যায়।
বিদেশযাত্রা, নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা এবং মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধনের জন্য নানা প্রয়োজনেই এনআইডির ব্যবহার বেড়ে চলছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত ভোটারদের তথ্য হালনাগাদ করা জরুরি হয়ে পড়ছে। কেননা, দেশের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মধ্যে তিন লাখের বেশি ভুল ধরা পড়েছিল। সেই হিসাবে ১০ কোটি ভোটারের মধ্যে আড়াই কোটির আইডি কার্ডে ভুল রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অন্য নাগরিকদের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন এবং তাদের সবারই শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ রয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের আইডিতে এ ধরনের ভুল আরও বেশি থাকাটাই স্বাভাবিক।
সারা দেশেই বিভিন্ন এলাকায় চলছে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম। অনেকেই বলেন নামেই শুধু স্মার্ট কার্ড। কাজের বেলায় এনালগ কার্ড। এ স্মার্টকার্ড হাতে পেয়ে খুশি হওয়ার পরিবর্তে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেকেই। এর কারণ স্মার্টকার্ডগুলোর বেশিরভাগই ভুলে ভরা। ১৮ ধরনের তথ্যে গরমিল রয়েছে এর মধ্যে ওয়ার্ড নম্বর, ইউনিয়ন ও ভোটার এলাকার নাম থাকা, স্ত্রীর ক্ষেত্রে স্থায়ী ঠিকানা হিসাবে স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা দেয়া ইত্যাদি অন্যতম। আবার কারো নিজের নাম ভুল, কারো বাবার নাম, কারো মায়ের নাম ভুল, কারো কারো ঠিকানা ভুল, শহরে রোড নাম্বার আছে তো জায়গার নাম নেই, গ্রামের নাম ভুল আছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভুল রয়েছে গ্রামের নাম নিয়ে। ভুল থেকে বাদ যায়নি পোস্ট অফিসের নাম কিংবা পোস্ট অফিসের নম্বর পর্যন্ত। আবার কারো নাম বাংলাতে সঠিক থাকলেও ভুল রয়েছে ইংরেজিতে। কোনো ইউনিয়নের অনেক গ্রামের নামের বানান স্মার্টকার্ডে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা নিয়ে পুরো গ্রামবাসী দুশ্চিন্তায়, শহরবাসী, ছাত্র-শিক্ষকসহ সব পেশার মানুষই দুশ্চিন্তায়। প্রায় সব তথ্যই ওলটপালট।
একটি দেশের জাতীয় স্মার্টকার্ডে কীভাবে এত ভুল থাকতে পারে, তা নিয়ে বিস্ময় সকলের। এগুলো আবার সংশোধন করতে টাকাও দিতে হবে! জনগণের হয়রানি আর ভোগান্তির শেষ নেই।
অনেকের পূর্ববর্তী জাতীয় পরিচয়পত্রে গ্রামের নাম সঠিক ছিল। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্টকার্ডে গ্রাামের নাম ভুল লেখা হয়েছে। যা মারাত্মক ভুল। এ ভুলে ভরা স্মার্টকার্ড পরবর্তী সময়ে যেকোনো জরুরি কাজে ভোগান্তিতে ফেলবে সাধারণ জনগণকে এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এমন ভুল তথ্য-সংবলিত জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কোনোভাবেই নাগরিকসেবা পাওয়া সম্ভব নয় বলে অনেকেই মনে করেন। বিশেষ করে পাসপোর্ট তৈরি কিংবা ব্যাংকিং কার্যক্রমসহ অসংখ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন তারা।
অসংখ্য মানুষের স্মার্টকার্ডে তথ্যগত ভুলের পাশাপাশি রয়েছে বানানগত ব্যাপক ভুল। যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন স্মার্টকার্ডে ভুল থাকলে তা সংশোধনের প্রক্রিয়া রয়েছে। যাদের কার্ডে ভুল রয়েছে, তাদের সংশোধনের আবেদন করার মাধ্যমে সংশোধনের সুযোগ। কিন্তু এত সংখ্যক স্মার্টকার্ডের সংশোধন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময়ের ভোগান্তি লাঘবে বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেয়া যায় কি না তা নির্বাচন কমিশনকে ভাবতে হবে।
নতুন প্রজন্মের যারা বয়স আঠারো অতিক্রম করেছে, যাদের জন্ম ২০০১-এর ৩১ ডিসেম্বরের আগে তাদের মাঝেও স্মার্টকার্ড বিতরণ চলছে। সেখানেও একই অভিজ্ঞতা বানান ও তথ্য বিভ্রাটের ছড়াছড়ি। এই কার্ড নিয়ে মানুষের ভোগান্তির আর শেষ নেই। কীভাবে এর সংশোধন হবে এ নিয়ে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এ ভুলের জন্য দায়ী কারা? উত্তরে বলা যায় যারা লেখার কাজটি করেছেন তারাই ভুল করেছেন, আবার কম্পিউটারে তথ্য বিন্যাস করার পর তা ভালোভাবে চেক করা হয়নি তাই এমনটা হয়েছে। তাহলে কার্ডধারীর কী হবে? এমনটাই প্রশ্ন করছেন অনেকে।
এই কার্ডে ভুল সংশোধন করতে হলে নির্বাচন অফিসে গিয়ে ফরম পূরণ করে জমা দিয়ে সংশোধন করতে হবে। তবে গ্রামের সহজ সরল মানুষ এই স্মার্টকার্ড কীভাবে কোথায় গিয়ে সংশোধন করতে হবে তা আদৌ জানে না। এরইমধ্যে যেসব স্মার্টকার্ডে ভুল হয়েছে সেসব কার্ডগুলো সহজভাবে সংশোধন করার ব্যবস্থা করা হোক।
দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচয় এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুবিধা পেতে গেলে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা আবশ্যক। আবার যারা নতুন পরিচয়পত্র করতে চান, তাদের অনেকেই এ বিষয় সম্পর্কে অবগত নন। অনেকে আবার জানেন না, কীভাবে পরিচয়পত্র করতে হবে, এ জন্য কোথায় যেতে হবে, কী কী প্রয়োজন ইত্যাদি। এছাড়া পরিচয়পত্রে নাম-ঠিকানা ভুল কিংবা ছবি খারাপ এসেছে এমন অভিযোগ অনেকের। সময় এসেছে এসব সংশোধনের।
প্রতিদিন হাজার হাজার নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন। আমরা অনেকেই জানি না বর্তমানে অনলাইনে আবেদন করে নতুন ভোটার হওয়া যায়। তাছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডির জন্য আবেদন করে সংশোধন করা যায়। একইসঙ্গে হারিয়ে গেলে, কোনো তথ্য সংশোধন বা ছবি পরিবর্তনও করা যাবে অনলাইনে।
দেশের প্রায় ১১ কোটি নাগরিককে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র ‘স্মার্ট কার্ড’ ২০২২ সালের মধ্যে দেয়া হবে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পাওয়া ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস’ দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।
নতুন প্রকল্পে ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সব ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড দেয়া হবে। সেই সঙ্গে ভোটার নন এমন ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের দেয়া হবে পেপার লেমেনিটিং কার্ড। এছাড়া জন্মের পর পরই প্রত্যেক শিশুকে জন্মনিবন্ধন নম্বরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ইউনিক আইডি নম্বর দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হবে।
নতুন ভোটার নিবন্ধন, স্থানান্তর, কর্তন, তথ্যের ভুল সংশোধন সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং অধিকতর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে নাগরিকদের সেবা দেয়া হবে। অনূর্ধ্ব ১৮ এবং ১০ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকদের নিবন্ধনের জন্য গাইডলাইন প্রস্তুত করা হবে।
জন্ম নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ একটি শিশুর জন্মের পর পরই তাকে এই ১০ ডিজিটের ইউনিক আইডি নম্বর দেয়া হবে। প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুততম সময়ে নিবন্ধন, পরিচয়পত্র দেয়া এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিবন্ধন করে এনআইডি সরবরাহের প্রক্রিয়া নেয়া হচ্ছে।
নতুন কার্ডে তথ্য যাচাই এবং তথ্য বিভ্রাট ও বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে নির্ভুল ভোটার আইডি দেয়া এখন সময়ের দাবি যা জনগণের ভোগান্তি কমাতে সহযোগিতা করবে।
লেখক: প্রাবন্ধিক