সোশ্যাল মিডিয়া মনেটাইজেশন


হীরেন পণ্ডিত
বর্তমানে অনেকগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে আয়ের ক্ষেত্র আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি নতুন একটি ওয়েবসাইট চালুর ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক। বুলেটিন নামের ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লেখকেরা ফ্রি এবং পেইড নিউজ লেটার তৈরি ও শেয়ার করতে পারবেন। অর্থাৎ, এই প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমেও আয় করা যাবে। বুলেটিনের লেখকদের সাবস্ক্রিপশন থেকে যে আয় আসবে তার পুরোটাই তিনি রাখতে পারবেন। নতুন এ ওয়েবসাইট সম্পর্কে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য হলো সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ যেন জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সেই বিষয়টিতে সমর্থন দেওয়া।
সরাসরি ফেসবুক থেকেও আয়ের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন-টুইটার, ক্লাবহাউস, স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, ইত্যাদি থেকেও আয় করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। আজকাল ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহারকারীদের অর্থোপার্জনের সহজ উপায় বের করছে। উদাহরণস্বরূপ, বলা যায় এই প্ল্যাটফর্মগুলি ভিডিওগুলিতে বিজ্ঞাপন দেখায়। সুতরাং, প্রভাবশালী, প্রযুক্তি বিশারদ ও দক্ষ ব্যক্তিরা সেই ভিডিওগুলি থেকে অর্থ উপার্জন করে। এই প্ল্যাটফর্মগুলির সঠিক ব্যবহারের ফলে, এই ভার্চুয়াল স্পেসগুলি অনেক লোকের আয়ের একটি লোভনীয় উৎস হয়ে উঠেছে। সহজ অ্যাক্সেস এবং সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটের ব্যবহার মানুষকে তাদের অভ্যন্তরীণ প্রতিভা বিকাশ ও ব্যবহার করতে এবং এই ফোরামগুলির মাধ্যমে উপার্জন করার জন্য ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জনের জন্য সক্ষম করছে।
বিদ্যমান অনলাইন ব্যবসাগুলিও সোশ্যাল মিডিয়া ফোরামগুলি ব্যবহার করছে এখন এবং তাদের ব্যবসাকে সম্প্রসারিত করতে এবং এটিকে বড় করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংকে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করছে, যা এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমেই এই উপার্জন সম্ভব হয়েছে। ফেসবুক বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। মার্ক জুকারবার্গের তৈরি এই জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের সাহায্যে মানুষ শুধু বন্ধু বানানোর পরিবর্তে অর্থ উপার্জন করতে পারে। তবে শুধু ফেসবুক প্রোফাইল দিয়ে দিয়ে টাকা আয় করা সম্ভব নয়। আপনার একটি ফেসবুক পেজ বা গ্রæপ থাকতে হবে। ধরুন একজনের ৫০,০০০ লাইক বা ৫০,০০০ সদস্যসহ একটি ফেসবুক গ্রæপ আছে। তাহলে খুব সহজেই এই পেজ দিয়ে অল্প সময়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
একটি কোম্পানির পণ্য বিক্রি করা এবং এর লাভের একটি অংশ উপভোগ করাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। মানুষ চাইলে ফেসবুকের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারে। তবে এটি করতে জনগণের একটি প্ল্যাটফর্ম দরকার। ফেসবুকের মাধ্যমে কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে লভ্যাংশ উপভোগ করা যায়। ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে যে কেউ ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে যা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। আর্থিক সুবিধা পেতে ফেসবুক পেজে কমপক্ষে ১০ হাজার লাইক থাকতে হবে। ৬০ দিনে, অর্থাৎ দুই মাসে, পেজের ভিউ সংখ্যা ৩০,০০০ হাজারে পৌঁছাতে হবে। যাইহোক, সেই ৩০,০০০ ভিউয়ের প্রতিটি ভিডিওর দৈর্ঘ্য কমপক্ষে ৩ মিনিট হতে হবে।
ধরুন একজন ব্যক্তি একটি ফেসবুক পেজ বা একটি গ্রæপ খোলেন। সেই গ্রæপ বা পেইজে নিয়মিত আর্টিকেল পোস্ট করে এবং বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানিয়ে অল্প সময়ে লাইক ও সদস্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। তারপর যখন সেই ফেসবুক পেজ বা গ্রæপে আরও সদস্য বা লাইক যোগ করা হয়, তখন বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তি ফেসবুক পেজ থেকে কেনার আগ্রহ দেখাতে পারে। সেক্ষেত্রে, কেউ যদি ফেসবুক প্রোফাইল বা পৃষ্ঠা প্রচার করতে চান তবে ফেসবুক পেজ বা গ্রæপ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। যখন কেউ একটি গ্রæপ বা পেজে ৫০,০০০ লাইক বা সদস্য যোগ করতে পারে, তখন তারা সহজেই একজন ব্যক্তির ফেসবুক পেজ এবং প্রোফাইলকে তাদের ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল লিঙ্ক শেয়ার করে প্রচার করতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি বা পেজের মালিক ফেসবুক অ্যাকাউন্টধারীদের

নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে পারেন।
কারও যদি সংবাদপত্রের ওয়েবসাইট থাকে তবে তারা ফেসবুকের তাৎক্ষণিক নিবন্ধগুলির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারে। আমাদের দেশের অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারে। অবশেষে, চলমান ভাইরাল বিষয় নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। চলমান ভাইরাল বিষয়বস্তুর খবর পোস্ট করার জন্য যদি কেউ ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল ব্যবহার করে, তাহলে তারা খুব দ্রæত সফল হতে পারবে এবং প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবে।
ফেসবুকে অর্থ উপার্জনের জন্য আপনার পাবলিক পেজ প্রয়োজন হবে। আপনার ফেসবুক পেজ অ্যাড ব্রেকের আওতায় আসলে আপনি ফেসবুক থেকে বিজ্ঞাপনের আয়ের অর্থেও শেয়ার পাবেন। এ জন্য আপনার ফেসবুক পেজটি মনেটাইজেশন হতে হবে। আপনার ফেসবুক পেজটি মনেটাইজেশন হওয়ার জন্য কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হবে। গত ৬০ দিনে আপনার ফেসবুক পেজটিতে নিচের যেকোনো একটি বিষয় বাস্তবায়ন হতে হবে। আপনার ৩ মিনিট প্লাস ভিডিওতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভিউ হতে হবে। এই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভিউ হচ্ছে এ ধরনের ভিডিওকে অন্তত ১ মিনিট দেখা হতে হবে এবং এ রকম ১ মিনিট দেখার পরিমাণ হতে হবে ৩০ হাজার অথবা আপনার ফেসবুক পেজে ১৫০০০ এনগেজমেন্ট হতে হবে। অথবা আপনার ফেসবুক পেজে আপলোড করা সকল ভিডিও মিলিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার মিনিট ভিউ হতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে কমপক্ষে ১৮ বছর বয়সী হতে হবে।
এ ছাড়াও আপনার ফেসবুক পেজে কমপক্ষে ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে। কিছু কিছু জায়গায় এই ফলোয়ার ১ হাজার হলেও চলবে। আপনার কনটেন্টটি আপনার বিজনেস পেজ তথা ফেসবুক পেজে আপ করতে হবে। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে আপ করা কনটেন্টের জন্য ফেসবুক আপনাকে কোনো অর্থ দেবে না।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মগুলি আর কেবল যোগাযোগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তারা ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে আসছে। এই সাইটগুলো তাদের অস্তিত্ব¡ টিকিয়ে রাখতে একের পর এক ফিচার যোগ করছে। স্ন্যাপচ্যাটে দৈনিক যেসব কনটেন্ট তৈরি হয় সেগুলোর বিপরীতে ১ মিলিয়ন ডলার প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি। কোনো ব্যবহারকারীর কনটেন্ট স্ন্যাপচ্যাটের শর্ত পূরণে সক্ষম হলে এটি শেয়ার করা হয়। এর মানে হলো অন্য ব্যবহারকারীরা স্টোরি এবং সার্চ রেজাল্টস উভয় জায়গাতেই পাবে সেই স্ন্যাপ। এভাবে কারও স্ন্যাপ ভাইরাল হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর কাছে একটি নোটিফিকেশন যাবে এরকম-‘আপনি স্পটলাইট পেআউট’ গ্রহণের যোগ্য। তখন তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাবেন।
স্ন্যাপচ্যাটে কন্টেন্ট তৈরি এবং শেয়ার করার মাধ্যমে, বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ডলার (আনুমানিক ৮.৫ কোটি টাকা) উপার্জন করতে পারেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে ব্যবহারকারীদের শুধুমাত্র তাদের স্মার্টফোন ক্যামেরা ব্যবহার করে বিষয়বস্তু শেয়ারর করতে হবে। ব্যবহারকারীরা স্পটলাইটে অ্যাপের মাধ্যমে তৈরি সামগ্রী বা স্ন্যাপ জমা দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
গত বছর, ইউটিউবে শর্টস নামে একটি ছোট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছিল। কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা এখন তাদের তৈরি করা ছোট ভিডিও ইফনিটউব শর্টসে শেয়ার করতে পারবেন। গুগল তাদের ভিডিওর জন্য সবচেয়ে বেশি ভিউ এবং লাইক পান এমন ব্যবহারকারীদের অর্থ প্রদান করে। এছাড়াও, ইউটিউব চ্যানেলে ১২ মাসে কমপক্ষে ১২,০০০ ঘন্টা দেখার সময় এবং ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকবে। ইউটিউব শর্টস কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য ১০ কোটি ডলারের তহবিল গঠন করেছে। ‘শর্টস’ নির্মাতাদের প্রতি মাসে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত দেবে ইউটিউব। এই অর্থ ২০২২ সালের মধ্যে বিতরণ করা হবে। ইউনিক ইউটিউব শর্টস কনটেন্ট নির্মাতারা এখান থেকে অর্থ পেতে পারেন।
ইউটিউব শর্টস নির্মাতাদের তৈরি ‘শর্টস’ ভিডিওগুলো, প্রতি মাসে কত জন মানুষ ওই ভিডিওগুলো বানাচ্ছেন, কতজন দেখেছেন, এবং নির্মাতার দর্শকদেও ভৌগোলিক অবস্থানের বিবেচনায় নির্ধারণ করা হবে নির্মাতাদেও কে কত পাবেন। এ ছাড়া একদম নতুন ভিডিও হতে হবে ওই ‘শর্টস’গুলোকে। পুরোনো ভিডিওগুলো নতুন করে আপলোড করলে, অথবা টিকটকের মতো অন্য প্ল্যাটফর্মের জলছাপ আছে এমন কোনো ভিডিও পোস্ট করলে তার বিপরীতে আয় হবে না নির্মাতাদের।
এ ছাড়া ইউটিউবে দীর্ঘ ভিডিও থেকেও আয় করতে পারবেন ক্রিয়েটররা। এখান থেকে আপনি কী পরিমাণ আয় করবেন তা নির্ভর করবে আপনার সাবস্ক্রাইবার কেমন আছে এবং ভিডিওর কেমন ভিউ হচ্ছে তার ওপর। ইউটিউবে সর্বশেষ ১২ মাসে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪ হাজার পাবলিক ওয়াচ আওয়ার সম্পন্ন হলে আপনি আয় শুরু করতে পারবেন। এ ছাড়া ইউটিউবে সুপার চ্যাটের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। কোনো ব্যক্তি বা তারকার ফ্যান, সাবস্ক্রাইবার বেড়ে গেলে তিনি কখনো লাইভে এলে সেখানে প্রশ্নের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। ধরা যাক, কোনো তারকা লাইভে এলেন। তখন অনেকই তাকে প্রশ্ন করেন। ওই তারকার পক্ষে সবার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব হয় না। তখন যিনি প্রশ্ন করতে চান তিনি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন করতে পারবেন। এখান থেকে ওই তারকা বা বিখ্যাত ব্যক্তি আয় করতে পারবেন। বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী ইউটিউবার, ৫ বছর বয়সী রায়ান একা তার খেলনা দেখিয়ে মাসে মিলিয়ন ডলার আয় করে।
টুইটারের টিপ জারের সাহায্যে অর্থ প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন উভয় ব্যবহারকারীই টিপ পাঠাতে ও গ্রহণ করতে পারবেন। ক্রিয়েটর, সাংবাদিক, বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও অলাভজনক সংস্থাগুলো এই ফিচার ব্যবহার করে অর্থ আয় করতে পারবে। ব্যবহারকারীরা টুইটার অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই জন্য, আপনি একটি টিপস জার ব্যবহার করতে পারেন। অ্যান্ড্রয়ডে বা আইফোন ব্যবহারকারীরা টিপস পাঠাতে বা গ্রহণ করতে এই বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহার করতে পারেন। টুইটারের এই বৈশিষ্ট্যটি বর্তমানে বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত। ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করাও সম্ভব। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরি করে এখান থেকে আয় করা যায়।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের শেয়ার করা ভিডিওর ভিউ যত বাড়বে, ততই তাদের ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়বে এবং যত বেশি ফলোয়ার আছে, তত বেশি টাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ড তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপনে খরচ করবে। হোয়াটসঅ্যাপ থেকেও টাকা আয় করা সম্ভব। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। মাত্র কয়েকদিন আগেই নতুন ওয়েবসাইট চালুর ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক। বিষয়বস্তু নির্মাতারা বুলেটিন নামক এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিনামূল্যে এবং অর্থ প্রদানের নিউজলেটার তৈরি এবং ভাগ করতে পারেন। অর্থাৎ এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে আয় করা যায়। বুলেটিনের লেখকরা চাঁদা থেকে আসা সম্পূর্ণ আয় রাখতে সক্ষম হবেন। “আমাদের লক্ষ্য হল এই ধারণাটিকে সমর্থন করা যে লক্ষ লক্ষ মানুষ সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে,” বলেছেন মার্ক জুকারবার্গ, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী প্রধান।
টিকটক এর নির্মাতারা বিনোদন, অনুপ্রাণিত এবং বিভিন্ন উপায় নিজেদের উপস্থাপন করেন। টিকটক এর কর্তৃপক্ষ এই ধরনের কাজের জন্য নির্মাতাদের তাদের সমর্থন এবং পুরষ্কার দেয়। টিকটক এর দেওয়া পুরস্কার কেউ পেতে চাইলে মানুষকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। এই শর্তগুলির মধ্যে কমপক্ষে ১০ হাজার প্রকৃত অনুসারী থাকা অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। এছাড়া, গত ৩০ দিনে তাদের এক লাখ প্রকৃত ভিডিও ভিউ থাকতে হবে। শর্ত পূরণ করা হলে, নির্দিষ্ট দেশের টিকটক এর ব্যবহারকারীরা সহজেই অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।
ইউটিউবের অফিসিয়াল বøগ অনুসারে, ইউটিউব শর্টস এর জন্য বরাদ্দ করা তহবিলের মূল্য ১০০ মিলিয়ন ডলার। এ অর্থ চলতি বছরের মধ্যে বিতরণ করা হবে। ইউনিক ইউটিউব শর্টস কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা এখানে পেমেন্ট পেতে পারেন। ক্রিয়েটররাও ইউটিউবে দীর্ঘ ভিডিও থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তারা এখান থেকে কত আয় করবে তা নির্ভর করবে আপনার সাবস্ক্রাইবার কেমন এবং ভিডিওটি কেমন দেখা হচ্ছে তার উপর। ইউটিউবে গত ১২ মাসে কেউ ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪ হাজার পাবলিক দেখার ঘন্টা কোঠা পূর্ণ করলে আপনি অর্থ উপার্জন শুরু করতে পারেন। ইউটিউবে সুপার চ্যাটের মাধ্যমেও অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
ইনস্টাগ্রামে অর্থ আয়ের বিষয়টি একটু অভিনব। ইনস্টাগ্রামের কনটেন্ট ক্রিয়েটররা আর্থিক সহায়তার অপশনটি দেখাতে চাইলে লাইভ ভিডিও চলাকালে ব্যাজ কিনতে পারবেন। অনুসারীরা সেই লাইভে প্রবেশ করা মাত্র আর্থিক সহায়তার অপশনটি দেখতে পাবেন এবং চাইলে যেকোনো পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে পারবেন। ইনস্টাগ্রাম সামগ্রী নির্মাতারা লাইভ ভিডিও চলাকালীন ব্যাজ কিনতে সক্ষম হবেন যদি তারা আর্থিক সহায়তার বিকল্পটি দেখাতে চান। অনুগামীরা লাইভে প্রবেশ করার সাথে সাথে আর্থিক সহায়তা বিকল্পটি দেখতে সক্ষম হবেন এবং তারা যে পরিমাণ অর্থ চান তা পরিশোধ করতে পারবেন। একটি টুইটার টিপজার সাহায্যে টাকা পাঠানো এবং প্রহণ করা যেতে পারে. অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন উভয় ব্যবহারকারীই টিপস পাঠাতে এবং গ্রহণ করতে পারেন। এই বৈশিষ্ট্যটি বর্তমানে বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীর জন্য উপযোগি। বিশেষ করে, নির্মাতা, সাংবাদিক, বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ এবং অলাভজনক সংস্থা এই বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।
‘ক্রিয়েটর ফার্স্ট’ প্রোগ্রামের সাহায্যে ব্যবহারকারীদের অর্থ আয়ের সুযোগ দেয় ক্লাবহাউস। একজন ক্রিয়েটর ক্লাবহাউস থেকে যে অর্থ আয় করেন তার পুরোটাই তাকে দিয়ে দেওয়া হয়। ক্লাবহাউস ব্যবহারকারীদের ‘ক্রিয়েটর ফার্স্ট’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে দেয়। একটি ক্লাব হাউস থেকে একজন নির্মাতা যে অর্থ উপার্জন করেন তা তাদের দেওয়া হয়। অর্থাৎ ক্লাবঘর কর্তৃপক্ষ এখান থেকে কোনো অংশ কাটে না। ভবিষ্যতে, সংস্থাটি অর্থ উপার্জনের আরও উপায় চালু করবে। ক্লাবহাউস ব্যবহারকারীদের নিয়মিত এটি অনুসন্ধান করার পরামর্শ দিয়েছে।
ইন্টারনেটের পরিধি দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া। বিনোদনের পাশাপাশি আয়ের উৎসও হয়ে উঠছে এসব মাধ্যম। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অর্থ উপার্জনের অনেক উপায় রয়েছে। বেশিরভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দিনের কিছু সময় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে কাটান। গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্যবহারকারীরা কমপক্ষে ১ থেকে ১.৫ ঘন্টা সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যয় করে। তবে যারা আসক্ত তাদের জন্য এই সময়টা অনেক বেশি। তবে আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আচ্ছন্ন হওয়া খারাপ নয় যদি এটি আপনার আয়ের উৎস হয়।
ইন্টারনেটের পরিধি দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া। বিনোদনের পাশাপাশি আয়ের উৎসও হয়ে উঠছে এসব মাধ্যম। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অর্থ উপার্জনের অনেক উপায় রয়েছে। বেশিরভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দিনের কিছু সময় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে কাটান। গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্যবহারকারীরা কমপক্ষে ১ থেকে ১.৫ ঘন্টা সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যয় করে। তবে যারা আসক্ত তাদের জন্য এই সময়টা অনেক বেশি। তবে আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আচ্ছন্ন হওয়া খারাপ নয় যদি এটি আপনার আয়ের উৎস হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *