গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে ফ্রেঞ্চ কাপের ম্যাচে পেস ডি ক্যাসলের বিপক্ষে ৭-০ গোলে জয়লাভ করে পিএসজি। ওই ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পে একাই করেন পাঁচ গোল। চতুর্থ বিভাগের দলের বিপক্ষে ফ্রান্সম্যান এমবাপ্পের ক্ষমাহীন ম্যাচে ঘটেছে একটি বিতর্কিত ঘটনা।
পিএসজির নিয়মিত অধিনায়ক ব্রাজিলের ডিফেন্ডার মার্কুইনহোস। কিন্তু ফ্রান্স কাপের ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন না তিনি। তার বিশ্রাম বা অনুপস্থিতিতে এতদিন পিএসজি’র আর্মব্যান্ড পরেছেন সহঅধিনায়ক এমবাপ্পের জাতীয় দলের সতীর্থ প্রিন্সেল কিম্পেম্বে।
কিন্তু পেস ডি ক্যাসলের বিপক্ষে ম্যাচে আর্মব্যান্ড পরে নামেন দলটির তরুণ ফরোয়ার্ড এমবাপ্পে। আর এতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টের মাধ্যমে নিজের বিরক্তির কথা প্রকাশ করেছেন ক্লাব সতীর্থ কিম্পেম্বে।
কিম্পেম্বের ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে করা পোস্টের বরাত দিয়ে এমন খবর ছেপেছে ফুটবল বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গোলডটকম, স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা, ব্রিটিশ গণমাধ্যম মিরর।
নিজের জাতীয় দল ও ক্লাব সতীর্থের হাতে দলের নেতৃত্বভার থাকলে তা নিয়ে আপত্তি নেই। কিম্পেম্বের। কিন্তু সেটা যথাযথ পক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে হতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে এমনই ইঙ্গিত করেছেন ফ্রান্স ও পিএসজির সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার
ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে কিম্পেম্বে লিখেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অনেক কিছু শুনেছি এবং পড়েছি। এই বিষয়ে যাতে মিথ্যা না ছড়ায় সেজন্য আমি একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিতে চাই, আমি (নেতৃত্ব না দেয়ার) বিষয়টি জানতাম না। যা ছড়াচ্ছে (নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়া) তা একেবারেই মিথ্যা। তবে আমি ক্লাবের সিদ্ধান্তকে সবসময়ই সম্মান করি।
পিএসজি’র ২৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডার চলতি মৌসুমের অধিকাংশ সময়ই ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন। কাতার বিশ্বকাপেও তিনি ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি। পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফার গালটিয়ের সেজন্য হয়তো এমবাপ্পেকে আর্মব্যন্ড দিয়েছিলেন। সিদ্ধান্তটা পুরোপুরি পিএসজি কোচের বলে মনে করা হচ্ছে।