রুশ সরকার নতুন যে পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করেছে, তাকে অনুমোদন করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কোর নতুন পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য হল পশ্চিমা হাইব্রিড যুদ্ধ মোকাবিলা করা। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, ইউক্রেন সংঘাতের মধ্যে পশ্চিমা শক্তিগুলো রাশিয়াকে খাটো করার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নতুন এই পররাষ্ট্রনীতি অনুমোদন করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ নতুন পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে বলেছেন, রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, পশ্চিমা শক্তিকে রাশিয়া বাস্তব হুমকি মনে করে। সেটা মোকাবিলা করতেই পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বড় রকমের পরিবর্তনের ফলে নিজের পররাষ্ট্রনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনছে রাশিয়া।
এর আগে ২০১৬ সালে পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। সেই সময় সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াই, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার, বৈশ্বিক অঙ্গনে রাশিয়ার উপস্থিতি এবং রুশ জাতির সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা ছিল দেশটির পররাষ্ট্রনীতির প্রধান লক্ষ্য।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। দেখতে দেখতে যুদ্ধের এক বছর পেরিয়ে গেলেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি পুতিনের প্রশাসন।
অপরদিকে যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঘোষণা দিয়ে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা। একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি নানাভাবে রাশিয়াকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে তারা। এমনই প্রেক্ষাপটে নতুন পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করল রাশিয়া।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাশিয়া ইউরোপের পরিবর্তে চীন ও ভারতমুখী পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করেছে। এ ছাড়া নতুন পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী রাশিয়া ইরানের পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক আরও জোরদার করার চেষ্টা করবে।