দক্ষতা বৃদ্ধিই শিক্ষিত বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে

হীরেন পণ্ডিত
বিশ্ব পরিস্থিতি সব সময়ই একটি সঠিক নিয়মে পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়। এটাই হয়তো নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব বদলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় আমাদের জীবনযাপন। করোনাকালের পর বৈশ্বিক পরিস্থিতি বেশ বদলে গেছে। নতুন করে আমরা শুনলাম নিউ নরমাল সিচুয়েশন বা পরিবর্তিত বিশে^ আমাদের জীবনযাত্রা। ২০২০ সালের তুলনায় বিশ্বে পণ্যমূল্য এখন ৩০ শতাংশ বেড়েছে। জ্বালানি সংকট নিয়ে ইউরোপ, রাশিয়া ও চীনের দ্বন্দ্বের কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে ক্রমাগত। এখন সারাবিশ্বে যে উচ্চমূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে, এর প্রধান কারণ সরবরাহ সংকট। তার মানে হলো- এই মূল্যস্ফীতি চাহিদাজনিত নয়, বরং সরবরাহজনিত। যেহেতু বৈশ্বিক পরিম-লের বাইরে নয় বাংলাদেশ, সেহেতু এখানেও তৈরি হয়েছে নানাবিধ ঝুঁকি।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈশ্বিক ঝুঁকি ২০২২ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর বাংলাদেশে অর্থনীতির প্রধান সমস্যা হচ্ছে কর্মসংস্থান ও জীবিকার সংকট। তা ছাড়া পরিবেশ বিপর্যয়, সাইবার দুর্বলতা, ডিজিটাল বৈষম্যও অর্থনীতির ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে। উল্লেখ্য, বিশ্বের প্রায় এক হাজার বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তৈরি এই প্রতিবেদনে সংস্থাটি শতাধিক দেশের প্রধান চারটি ঝুঁকি চিহ্নিত করে। এতে অর্থনৈতিক ঝুঁকির পাশাপাশি সামাজিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগত ঝুঁকির বিষয়ও উঠে এসেছে। কর্মসংস্থান ও জীবিকার পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বড় ঝুঁকি হচ্ছে কৌশলগত সম্পদের ভূরাজনৈতিকীকরণ (জিওপলিটিক্স)।

এদিকে করোনার অভিঘাতে অনেক মানুষের আয় কমেছে, অনেকে কর্ম হারিয়েছেন। কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য নিয়ে বিভিন্ন জরিপে একটি বিষয় পরিষ্কার, দেশের অনেক মানুষের আয় কমেছে। অনেক মানুষ আবার তুলনামূলকভাবে উচ্চদক্ষতার কাজ থেকে নিম্নদক্ষতার কাজ নিতে বাধ্য হয়েছে। উন্নয়নের পাশাপাশি দেশে যে বৈষম্যের ব্যবধান বেড়েই চলছে, তা নিয়ে দ্বিমতের অবকাশ নেই। এই পরিস্থিতির মধ্যে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো করোনা প্রকোপ কর্মসংস্থান ও জীবিকায় সংকট তৈরি করেছে। অর্থাৎ দেশের উৎসাহব্যঞ্জক প্রবৃদ্ধি অর্জন বৈষম্য নিরসনে পুরোপুরি ভূমিকা রাখছে না। আর বৈষম্য থাকলে সমাজ টেকসই হয় না। ফলে জনগোষ্ঠীর বিশাল একটি অংশ চাকরিবাজারের বাইরে থাকলে তাদের অবদান থেকে সমাজ বঞ্চিত হয়। এ অবস্থার অবসানে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি। এ জন্য আমাদের অবশ্যই কর্মসংস্থানভিত্তিক প্রবৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে, জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

সারাবিশ্বে চলমান খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের গতি-প্রকৃতি, মূল্য বৃদ্ধি-কমা নির্ভর করছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের স্থায়িত্বের ওপর। চলমান এই যুদ্ধ কেবল খাদ্য, জ্বালানি ও পণ্য সরবরাহকে সংকটে ফেলেনি; কৃষি উৎপাদনকে ব্যাহত করেছে, সংকুচিত হচ্ছে মানুষের কাজের ক্ষেত্র। বিশ্বব্যাপী চলমান এই দুর্যোগের সমাপ্তি নির্ভর করছে যুদ্ধের সমাধানের ওপর তথা স্থায়িত্বের ওপর। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সাম্প্রতিক জরিপেও এমন আশঙ্কার তথ্য ব্যক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক খাদ্য সংস্থা ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন বলছে, দুর্ভিক্ষ আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এর পাশাপাশি আবহাওয়ার ভিন্নরূপ হিসেবে বন্যা, খরা বাড়ছে। বিশেষ করে এই যুদ্ধের প্রভাবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ডলার সংকট, জ্বালানির উচ্চমূল্য, মূল্যস্ফীতি, খাদ্য ঘাটতির শঙ্কা, জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ এবং করোনা পরিস্থিতি দেশ ও মানুষকে বিপাকে ফেলছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির মতে, বাংলাদেশে খাদ্যের দাম দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলেছে, বিশ্বে দুর্ভিক্ষ আসছে। এ কারণে স্পষ্টতই বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়বে। সুনির্দিষ্ট কিছু পণ্যের আমদানিতে কর রেয়াত দেওয়া, বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেট ভাঙা, ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারে ভর্তুকি প্রদান, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা দরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনায় নিয়ে সর্বক্ষেত্রে ব্যয়সাশ্রয়ী, মিতব্যয়ী হওয়া, কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন বন্ধ রাখা, বিলাসীসামগ্রী ও ফল আমদানির লাগাম টানা, সরকারি কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহী করা জরুরি। এর পাশাপাশি বিগত করোনা মহামারী মোকাবিলায় যেভাবে মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বিশেষ ‘অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্যাকেজ’ দেওয়া হয়েছিল, ঠিক অনুরূপ বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।

বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় ঝুঁকি। যতই প্রবৃদ্ধি হোক না কেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করতে না পারলে আমাদের সব অর্জন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। যারা উচ্চআয়ের মানুষ, তারাই বেশি ডিজিটাল সুবিধা পাচ্ছে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের স্বার্থে সামগ্রিক ডিজিটাল বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির যত প্রসার ঘটছে, বৈষম্যও তত বাড়ছে। যে কোনো প্রযুক্তি বিকাশের প্রথম পর্যায়ে এই বৈষম্য থাকবে। কিন্তু ডিজিটাল বৈষম্য কমানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে বেকারত্বের সঙ্গে যোগ হয়েছে উচ্চমূল্যস্ফীতি। এতে দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ বিপাকে পড়েছে। ফলে এসব মানুষ খাদ্য ব্যয় কমিয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে শিশুদের ওপর। বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশিরভাগ মানুষই আশাহত। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৮৪ শতাংশ মানুষই বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে। মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ আশাবাদী। করোনায় অর্থনৈতিক কর্মকা- বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বিনিয়োগে কিছুটা হলেও চলছে স্থবিরতা, আগের ব্যবসা-বাণিজ্য সংকুচিত হয়েছে, নতুন করে কমেছে প্রসার, কাজের নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি হওয়ার সুযোগও হ্রাস পাচ্ছে, অনেকেই চাকরিচ্যুত হয়েছেন, কমেছে বেতন-ভাতা। নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করা এবং বর্তমান কাজটি ধরে রাখাই এখন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে জীবিকার সংকটে পড়ার হুমকিতে রয়েছে দেশের অর্থনীতি। দেশের পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও জীবিকার সংকট প্রকট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশে অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবিকার সংকট। এ সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। কোন খাতে কেমন দক্ষতা প্রয়োজন, আগামী ২০ বছর কোন খাতের বিকাশ কেমন হবে- এর ভিত্তিতে শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা জরুরি। তা না হলে বেসরকারি খাতের চাহিদা অনুযায়ী কর্মীর জোগান দেওয়া যাবে না। এখনই দক্ষ শ্রমিক ও উচ্চপর্যায়ের কর্মীর অভাব রয়েছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে পরিকল্পিতভাবে কর্মের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য দরকার আগাম সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা।
কর্মসংস্থানের গতি কমে যাওয়ায় কারণে অর্থনীতিতে জীবিকার সংকট তৈরি হচ্ছে। এ সংকট থেকে আগে উত্তরণ ঘটাতে হবে। এ জন্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা, ছোট ও কুটিরশিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে। করোনার কারণে আগের কর্মসংস্থান যেমন অনেকে ধরে রাখতে পারেননি, তেমনি নতুন কর্মসংস্থানও হচ্ছে কম। এতে শ্রমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে বেসরকারি খাতে নতুন কোনো কর্মসংস্থান হয়নি বললেই চলে। সরকারি খাতেও খুবই কম চাকরির সংস্থান হয়েছে। প্রতিবছর গড়ে ২৬ লাখ থেকে ২৭ লাখ মানুষ নতুন করে শ্রমের বাজারে আসে। এ হিসাবে দুই বছরে এসেছে ৫২ লাখ থেকে ৫৪ লাখ মানুষ। তাদের বেশিরভাগেরই কর্মসংস্থান হয়নি। আইএলওর হিসাবে আগে সাড়ে ৩ কোটি মানুষ বেকার ছিল। সব মিলিয়ে এখন বেকারের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৪ কোটিতে। এ ছাড়া নতুন করে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। গত দুই বছরে স্বাস্থ্য ক্যাডারে বেশকিছু পদে নিয়োগ হয়েছে। খুব সীমিত আকারে ব্যাংক ও অন্যান্য সরকারি খাতে কিছু নিয়োগ হয়েছে। তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই কম।
সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ হয়েছিল ২০১৭ সালে। ওই জরিপ অনুযায়ী মোট শ্রমশক্তির মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ৬ কোটি ৩৫ লাখ। তাদের মধ্যে কাজ করেন ৬ কোটি ৮ লাখ নারী-পুরুষ। বাকি ২৭ লাখ বেকার। ৬ বছর ধরে এই জরিপ হচ্ছে না। অথচ মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই বছর পর পর জরিপ হওয়ার কথা। কৃষিশ্রমে যারা নিয়োজিত, তাদেরও কর্মে নিয়োজিত বলে দেখায় বিবিএস। অথচ তাদের বড় অংশই বেশিরভাগ সময় ছদ্মবেকার থাকে।

২০২৩ সালেও কর্মসংস্থান করাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী কর্মসংস্থানে মোট নিয়োজিত রয়েছে সরকারি চাকরিতে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বেসরকারি চাকরি ১৪ দশমিক ২ শতাংশ, অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে ৬০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে ২১ দশমিক ১ শতাংশ। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। দেশ থেকে পুঁজি নিয়ে বিদেশে বিনিয়োগের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা না করে সেই পুঁজি দেশেই বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং বেকারত্ব কমবে। আগে দেশের বেকারত্ব নিরসন না করে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়াটা ঠিক নয়। এতে অর্থনৈতিক বৈষম্য আরও বাড়বে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) জরিপে দেখা গেছে, দেশে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বেকারত্বের হার ৩৪ শতাংশ। আর স্নাতক পর্যায়ে এই হার ৩৭ শতাংশ। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী দশ বছরে কোন শিল্প খাতে কেমন কর্মী দরকার হবে এবং কী ধরনের দক্ষতা প্রয়োজন পড়বে- এই প্রজেকশন না থাকলে শিল্প খাতের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী জোগান দেওয়া সম্ভব হবে না। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অনেক গ্র্যাজুয়েট তৈরি হবেন। কিন্তু চাহিদামতো কর্মী তৈরি করা সম্ভব হবে না।

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) মতে, বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের হার সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১০০ স্নাতক ডিগ্রিধারীর মধ্যে ৪৭ জনই বেকার। অর্থাৎ প্রতি দুজনে একজন বেকার। এই মুহূর্তে ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী যে সংখ্যক যুবক আছেন, তাদের তিনজনে একজন বেকার। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের হার কম।

উল্লেখ্য, গার্মেন্টে চাহিদা অনুযায়ী কর্মী পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে গার্মেন্টে এখন অনেক বিদেশি কর্মী উচ্চপদে কাজ করেন। উচ্চপদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য অভিজ্ঞ কর্মী তৈরি করাটা এখন জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *