হীরেন পণ্ডিত: শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পঞ্চমবারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব¡ নিয়েছে। ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি বঙ্গভবনের দরবার হলে মন্ত্রিসভার নতুন সরদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নেন। শপথগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি। পরে নিয়ম অনুযায়ী মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা শপথগ্রহণ করেন।
আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের ইশতেহারের শিরোনাম ছিল ‘দিন বদলের সনদ’, ২০১৪ সালের ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’, ২০১৮ সালের ইশতেহারের শিরোনাম ছিল ‘সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার ছিল এটিতে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ সেøাগানে নিজেদের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ঘোষিত ইশতেহারে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা, গণতান্ত্রিক চর্চার প্রসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, আর্থিক খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাসহ মোট ১১টি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ইশতেহারে আরও বলা হয়েছে, সরকার কৃষির জন্য সহায়তা ও ভর্তুকি তথা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি উপকরণে বিনিয়োগ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে। ব্যবহারযোগ্য কৃষি যন্ত্রপাতি সহজলভ্য ও সহজপ্রাপ্য করা হবে। কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রাখা হবে। বাণিজ্যিক কৃষি, জৈবপ্রযুক্তি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং রোবোটিকস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ন্যানো-টেকনোলজিসহ গ্রামীণ অকৃষিজ খাতের উন্নয়ন ও বিশ্বায়ন মোকাবিলায় উপযুক্ত কর্মকৌশল গ্রহণ করা হবে।
কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং কৃষি গবেষণার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ অব্যাহত থাকবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ২০২৮ সালের মধ্যে গবাদিপশুর উৎপাদনশীলতা ১ দশমিক ৫ গুণ বৃদ্ধি করা হবে। বাণিজ্যিক দুগ্ধ, পোল্ট্রি ও মৎস্য খামার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে সহজ শর্তে ঋণ, প্রয়োজনীয় ভর্তুকি, প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও নীতিগত সহায়তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
জনগণের বিবেচনায় ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হয়েছে। নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ থেকে উত্তরণের জন্য ২০২৬ সাল পর্যন্ত এলডিসির সুবিধাগুলো বজায় রাখতে বাংলাদেশ অনুরোধ করে। অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালু করা, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ী ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প, পায়রা বন্দর, পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প, বাঁশখালী বিদ্যুৎ প্রকল্প। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের সার্বিক কল্যাণ, উন্নয়ন ও মুক্তির পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি প্রমাণ করেছেন যে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও উন্নয়নে তার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার সততা, নিষ্ঠা, যৌক্তিক মানসিকতা, দৃঢ় মনোবল, প্রজ্ঞা ও অসাধারণ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে এক ভিন্ন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি এখন বিশ্বখ্যাত নেত্রী হিসেবে পরিচিত।
শেখ হাসিনার অদম্য শক্তি, সাহস, মনোবল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিশ্ব বিস্মিত। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৯তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। এদিকে বাংলাদেশকে ২০২৬ সালে ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ ঘোষণা করা হয়েছে এবং ২০৪১ সালে ‘উন্নত দেশ’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এর বড় প্রমাণ বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে গত কয়েক বছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৯৫ মার্কিন ডলার।
অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিক থেকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় দেশগুলোর একটি। পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শেখ হাসিনা। সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা বিশ্বনেত্রী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল বিজয় এনে দেন ক্যারিশমাটিক এই নেতা। পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে আরেকটি রেকর্ড গড়লেন তিনি। দেশ ও জাতির স্বার্থকে সর্বদা সবার ওপরে রাখা শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের জনগণের কাছে আমার জবাবদিহিতা, দেশবাসী মেনে নিলেই হলো, কে কী বলে তাতে আমার কিছু যায় আসে না। অনেক বাধা ছিল কিন্তু দেশের মানুষ ভোটাধিকার নিয়ে সতর্ক ছিল। ২০০৯ সাল থেকে এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণেই দেশের এত উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের সামনে আরও কাজ আছে, যা আমরা সম্পূর্ণ করতে চাই। ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কেউ অভিযোগ করতে পারেনি। ওই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে বিএনপি পায় মাত্র ৩০টি এবং আওয়ামী লীগ পায় ২৩৩টি আসন।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যার সময় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানিতে ছিলেন। প্রায় অর্ধশতক বছর নির্বাসনে কাটিয়ে ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তার ৪৩ বছরের রাজনৈতিক যাত্রায় তিনি ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করে অবিচলিত পথ হেঁটেছেন। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় শেখ হাসিনার জন্য পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দরজা খুলে দিয়েছে। এটাও হবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড। সব মিলিয়ে নতুন বছরে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি তিনবার বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সব জল্পনা-কল্পনা, শঙ্কা ও শঙ্কার অবসান ঘটিয়ে সারা দেশে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া দেশের কোথাও বড় ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে এবং ভোটারদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে মাঠপর্যায়ে পুলিশ, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ডসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ সদস্যকে মোতায়ন করা হয়।
দুই শতাধিক দেশি ও ৭৬ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। এ ছাড়া কয়েক হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছেন। ভোটাররাও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। পুরুষের পাশাপাশি নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনবিরোধী অপপ্রচার ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা সত্ত্বেও সারা দেশে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল।
এটা গণতন্ত্রের বিজয়। নির্বাচন কমিশন এবং প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী সভাপতি শেখ হাসিনা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা, আন্তরিকতা ও সহযোগিতার কারণে জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষক্ষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সরকার আন্তরিক এবং সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা সমর্থন পেয়েছি, তাই দলীয় সরকারের অধীনে সমন্বিত প্রচেষ্টায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ষড়যন্ত্র সফলভাবে মোকাবিলা করে তার দল আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে সক্ষম হয়েছেন। আওয়ামী লীগ আমার গ্রাম আমার শহর, গ্রামে সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা এবং আমার বাড়ি আমার খামারের মাধ্যমে জনগণকে সমর্থন দিতে সক্ষম হয়েছে। শেখ হাসিনা তৃণমূল থেকে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত নিজেকে তদারকি করেছেন। বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং আয়ারল্যান্ডের পর্যবেক্ষক দল প্রশংসাসূচক এবং ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।
ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এত বেশি ভোটারের উপস্থিতি এবং ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখে তারা খুবই সন্তুষ্ট এবং বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে খুবই আশাবাদী। রাজধানীর বাইরে ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি দেখে তারা বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানান। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের পর্যবেক্ষক দলও বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতিবিদ জিম ব্যাটস বলেছেন, ভোটটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরেই ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ-মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে। যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণের ফলে গ্রামীণ উৎপাদন ও বাজারব্যবস্থা গতিপ্রাপ্ত হয়েছে। কৃষি উপকরণ সহজলভ্য ও কৃষিপণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে, গ্রামীণ চাহিদা মেটানোর জন্য কৃষি প্রযুক্তির সম্প্রসারণ এবং কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশ ত্বরান্বিত হচ্ছে। কৃষিজ ও অকৃষিজ উভয় ক্ষেত্রে কর্মকাণ্ড বহুগুণ সম্প্রসারিত হয়েছে।
উন্নত রাস্তাঘাট, যোগাযোগ, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, উন্নত পয়োনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক শহরের সব সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হবে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, খেলাধুলাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। নতুন স্মার্ট মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন তারা সবাই দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে-এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, আর্থিক খাতের অনিয়ম দূর করতে হবে এবং অর্থপাচার রোধ করতে হবে। শেখ হাসিনা এখন বিশ্বের সেরা উদাহরণ এবং বিশ্বনেতারা বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় তার উদ্যোগের প্রশংসা করছেন।