Togel Online

Situs Bandar

Situs Togel Terpercaya

Togel Online Hadiah 4D 10 Juta

Bandar Togel

যুব ক্ষমতায়ন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণকে ত্বরান্বিত করবে

হীরেন পণ্ডিত: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইশতেহার ঘোষণা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এবারের ইশতেহারের স্লোগান ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। এতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করে ১১টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, আয়ের মধ্যে সঙ্গতি প্রতিষ্ঠা, দেশের রূপান্তর ও উন্নয়নে তরুণ এবং যুবসমাজকে সম্পৃক্ত রাখা, পুঁজি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ঘুষ-দুর্নীতি উচ্ছেদ, ঋণ-কর-বিলখেলাপি ও দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় এনে তাদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে দলটি। এছাড়া গুরুত্ব পেয়েছে কৃষি, সেবা, অর্থনৈতিক ও শিল্প উৎপাদন খাত, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মৌলিক অধিকারও নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ (এসডিজি) অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। এর জন্য সরকার যুবকদের বিভিন্ন চাকরির সুযোগ তৈরি করছে। এছাড়া সুনির্দিষ্ট চাকরি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কর্মসংস্থান এবং আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এটি করাই এখন জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের জন্য।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার সফলভাবে বাস্তবায়নের পর বাংলাদেশ এখন নতুন কর্মসূচি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছেন। আজকের শিক্ষার্থীরাই একদিন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি এই চারটি মূল ভিত্তির ওপর গড়ে উঠবে ২০৪১ সাল একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ।
উৎসবে ও আমেজে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। উৎসাহ, উদ্দীপনা সৃষ্টি করে বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম জীবনের প্রথম ভোট দিয়েছে। চারদিকে নির্বাচনী আমেজ একসময় উৎসবে পরিণত হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর হাওয়া চারদিকে। বিশেষ করে নতুন ভোটারদের আমেজটা ছিল একটু ভিন্ন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের জাতীয় নির্বাচনে নতুন ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৬ জন। যারা প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করে আগামী ৫ বছরের জন্য দেশের আইনপ্রণেতা বাছাই করেছেন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট জনসংখ্যার চার ভাগের একভাগ তরুণ, যা প্রায় ৫ কোটির কাছাকাছি। নির্বাচনে তরুণদের ভোট মূল ফ্যাক্ট হিসেবে কাজ করেছে। বর্তমান সরকার তরুণবান্ধব সরকার। শেখ হাসিনা তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মহীন যুব সমাজকে জনশক্তিতে রূপান্তর ও তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুবদের বিভিন্ন পেশায় প্রশিক্ষণ অর্জন এবং তাদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার পথ নির্দেশকসমূহ হচ্ছে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং এরই ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
দেড় দশকে বাংলাদেশ একটি গতিশীল ও দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিশ্বের দরবারে মর্যাদা লাভ করেছে। নতুন করে সরকারে এসে সামষ্টিক অর্থনীতির উন্নয়নে আরো পদক্ষেপ নিয়েছে দলটি, যার মধ্যে আছে উচ্চ আয়, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। আর সেটি বাস্তবায়নে তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের। সে লক্ষ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি সিআরআই আয়োজিত তরুণদের সঙ্গে ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ ও যুবসমাজকে মূল ভূমিকা রাখার ওপর নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ফুটে ওঠে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যে ১১ বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে দ্বিতীয় নম্বরে কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। এটি অবশ্যই একজন তরুণের জন্য আনন্দের। একজন তরুণ হিসেবে অপর তরুণদের সঙ্গে তারুণ্যের আড্ডাই দেশের বিভিন্ন প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে নানা আলাপ হয়। সবারই মতামত, আকাক্সক্ষা, চাহিদা, বাংলাদেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন, তা ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের পথে। সবাই বাংলাদেশের এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রাকে সমর্থন করে।
আগে বাংলাদেশ কেমন ছিল বর্তমানে কেমন আছে। যারা বর্তমানে জন্মগ্রহণ করছে, তাদের কাছে আধুনিক এই সমাজে অতীতের কথাগুলো গল্প মনে হতে পারে এটিই স্বাভাবিক। কারণ আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন বিস্ময়কর রাষ্ট্র। উন্নয়ন অগ্রগতিতে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছে বাংলাদেশ। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে। সব সূচকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য বাংলাদেশ হিসেবে। এখন মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হচ্ছে। শিক্ষার হার বাড়ছে। শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আসছে দেশ। দেশের ইতিহাসে নয়, শুধু দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসের সেরা মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন বাংলাদেশে হয়েছে এবং অনেক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ সমাজকে শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞানে এবং প্রযুক্তি বিজ্ঞানে অত্যন্ত দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে এবং স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি ও ডিজিটাল ডিভাইসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ইন্টারনেটে ও স্মার্ট ফোনের সহজলভ্যতার কারণে সরকারি সব সেবা দ্রুত ও ঘরে বসে পাচ্ছে। একসময় যে কাজ করতে প্রচুর অর্থ, শ্রম ও সময় লাগত, তা বর্তমানে এক ক্লিকে ঘরে বসে করা যাচ্ছে। তারুণ্যের শক্তি স্মার্ট ও আধুনিক বাংলাদেশের মূল প্রতিনিধিত্ব হিসেবে কাজ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের সহযোগিতা বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা আশা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত রূপকল্প ২০৪১ সালে উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করতে যে মহাপরিকল্পনা তা বাস্তবায়নের অগ্রসৈনিক হিসেবে কাজ করবে তারুণ্যের দল।
বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের গৌরবজনক ঘটনা বা অধ্যায় হচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। ৩০ লাখ শহীদের বুকের তাজা রক্ত, লাখ লাখ মা-বোনের সীমাহীন আত্মত্যাগের বিনিময়ে একাত্তরের ৯ মাস যুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম এবং ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেই বিজয় ছিনিয়ে আনা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেছেন বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মুক্তিযুদ্ধ হলো বাঙালি জাতির শোষণের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়ার যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো আমাদের বাঙালি জাতির আজন্ম লালিত স্বপ্ন, একটি জাতির চেতনার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন দোলা দিয়েছে আমাদের মনে, আমাদের স্বপ্নকে অনুপ্রাণিত করেছে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে। সহায়তা করেছে স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং এই স্বপ্নকে বেগবান করেছে ও এক নতুন আশা ত্বরান্বিত করেছে। যে চেতনা বাঙালি জাতিকে একতাবদ্ধ করেছিল একটি গণতান্ত্রিক ও শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায়। এই চেতনা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আমাদের আরো কাজ করতে হবে। নতুন প্রজন্মের কাছে এই চেতনাকে আরো শাণিত করতে হবে।
তরুণসমাজ, তারুণ্য একটি প্রাণশক্তি, যা অফুরন্ত সম্ভাবনা ও বর্ণিল স্বপ্ন দ্বারা পরিপূর্ণ বাংলাদেশের স্বপ্ন। তরুণদের ভাবনাগুলো হবে বাংলাদেশের ভাবনা, বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করার ভাবনা, তরুণসমাজের আপাদমস্তক চিন্তাভাবনা হবে বাংলাদেশকে নিয়ে। সব অস্তিত্বে থাকবে বাংলাদেশ। তরুণদের কাজগুলো হবে বাংলাদেশের কাজ। সব স্বপ্ন দেখতে হবে বাংলাদেশকে নিয়ে।
বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে তরুণ সমাজের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। জনমিতিক পরিবর্তনে ২০৪১ সালে জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের বয়স হবে ৩০ বছরের কম; ১৫-২৯ বছর বয়সের তরুণের সংখ্যা কম বেশি ২ কোটি হবে। বাংলাদেশের রূপান্তর ও উন্নয়নে আওয়ামী লীগ এই তরুণ ও যুবসমাজকে সম্পৃক্ত রাখবে। কর্মক্ষম, যোগ্য তরুণ ও যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রসার করা হবে। জেলা ও উপজেলায় ৩১ লাখ যুবকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং তাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সহায়তা প্রদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। ২০৩০ সাল নাগাদ অতিরিক্ত ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পদক্ষেপ দেয়া হয়েছে।
বেকার যুবকদের পরিসংখ্যান তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বেকার যুবকদের সর্বশেষ হার ১০.৬ শতাংশ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ৩.০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। নিরক্ষর ও স্বল্প-শিক্ষিত তরুণ ও যুবসমাজের জন্য যথোপযুক্ত কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আত্মকর্মসংস্থানে উদ্যোগীদের সহজ শর্তে ক্ষুদ্রঋণের ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা এবং ঋণের পরিমাণ বাড়ানো হবে। যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি ধীরে ধীরে দেশের সব উপজেলায় সম্প্রসারণ করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আরো জোরদার করার লক্ষ্যে প্রতি উপজেলায় যুব প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের বাইরে থাকা ১৭.৮ শতাংশ যুবদের অনুপাত আগামী ৫ বছরে ৭ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হবে। আগামী ৫ বছরে ২ লাখ যুবকের মাঝে ৭৫০ কোটি টাকা যুব ঋণ বিতরণ করা এবং ২ লাখ ৫০ হাজার যুবককে আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে দেশে-বিদেশে বিকাশমান কর্মসংস্থানের সুযোগগুলো কাজে লাগানোর জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে পলিটেকনিক ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটগুলো ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
যুবসমাজের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য প্রতিটি উপজেলায় পাঠাগার স্থাপন, গণতান্ত্রিক, সাংস্কৃতিক ও শরীরচর্চা কেন্দ্র এবং ‘স্মার্ট ইয়ুথ হাব’ গড়ে তোলা হবে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ঘূর্ণায়মান ঋণ তহবিল, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহজ শর্তে এবং স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার জন্য বিশেষ সেল গঠন করে উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা হবে। অসহায়, অসমর্থ এবং শারীরিকভাবে অক্ষম যুবকদের শিক্ষা ও চিকিৎসা সহায়তার আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
অবকাঠামোর উন্নয়ন ও পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগের মাধ্যমে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটকে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলার কাজ অব্যাহত থাকবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক দুগ্ধ ও পোলট্রি খামার প্রতিষ্ঠার জন্য সহজ শর্তে ঋণ, প্রয়োজনীয় ভর্তুকি, প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও নীতিগত সহায়তা প্রদান করা হবে।
দেশে প্রতি বছর ২০ লাখের বেশি মানুষ শ্রম শক্তিতে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে। শিল্প খাতের বিকাশ এবং নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে এদের প্রত্যেকের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা আওয়ামী লীগের অন্যতম লক্ষ্য। কর্মসংস্থানের জন্য সবচেয়ে বেশি সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকারখানা। এ খাতের বাধাসমূহ দূর, ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও বিদেশি মানবসম্পদের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে এই খাতকে আরো শক্তিশালী, সুসংগঠিত ও গতিশীল করে তোলা হবে। দেশের যুবসমাজকে আকৃষ্ট করতে এবারের ইশতেহারে শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ তরুণ ও যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রামের তরুণ যুবসমাজের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা কমাতে গ্রামেই আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তরুণদের কৃষি, শিল্প ও ব্যবসায় উৎসাহ বাড়াতে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
গ্রাম পর্যায়ে কৃষিযন্ত্র সেবাকেন্দ্র, ওয়ার্কশপ স্থাপন করে যন্ত্রপাতি মেরামতসহ গ্রামীণ যান্ত্রিকায়ন সেবা সম্প্রসারণ এবং এসবের মাধ্যমে গ্রামীণ যুবক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থানের কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হবে। এসব সবার পাশাপাশি হালকা যন্ত্রপাতি তৈরি ও বাজারজাত করতে বেসরকারি খাতের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ এবং উপকরণে বিনিয়োগ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
কর্মক্ষম, যোগ্য তরুণ ও যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রসারিত করা হবে। জেলা ও উপজেলায় ৩১ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং তাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সহায়তা প্রদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। ২০৩০ সাল নাগাদ অতিরিক্ত ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বেকার যুবকদের সর্বশেষ হার ১০.৬ শতাংশ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ৩.০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। নিরক্ষর ও স্বল্পশিক্ষিত তরুণ ও যুবসমাজের জন্য যথোপযুক্ত কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আত্মকর্মসংস্থানে উদ্যোগীদের সহজ শর্তে ক্ষুদ্রঋণের ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা এবং ঋণের পরিমাণ বাড়ানো হবে।
যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি ধীরে ধীরে দেশের সব উপজেলায় সম্প্রসারণ করা হবে। তৃণমূল পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আরো জোরদার করার লক্ষ্যে প্রতি উপজেলায় ‘যুব প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান কেন্দ্র’ স্থাপন করা হবে। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের বাইরে থাকা ১৭.৮ শতাংশ যুবকের অনুপাত আগামী ৫ বছরে ৭ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হবে। আগামী ৫ বছরে ২ লাখ যুবকের মাঝে ৭৫০ কোটি টাকা যুব ঋণ বিতরণ করা এবং ২ লাখ ৫০ হাজার যুবককে আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। যুবসমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় যুবদের উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রশিক্ষণোত্তর আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে স্বাবলম্বীকরণ, যুবঋণ প্রদান, দারিদ্র্যবিমোচন ইত্যাদি কর্মসূচি চালু হয়েছে।
তাই ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাতে দেশ পরিচালনার নেতৃত্ব দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নির্বাচনে ভোট দিয়েছে তরুণরা।

হীরেন পণ্ডিত, লেখক ও গবেষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

slot qris

slot bet 100 rupiah

slot spaceman

mahjong ways

spaceman slot

slot olympus slot deposit 10 ribu slot bet 100 rupiah scatter pink slot deposit pulsa slot gacor slot princess slot server thailand super gacor slot server thailand slot depo 10k slot777 online slot bet 100 rupiah deposit 25 bonus 25 slot joker123 situs slot gacor slot deposit qris slot joker123 slot deposit ovo mahjong scatter hitam

situs togel

aplikasi togel

togel online sydney

https://www.chicagokebabrestaurant.com/

sicbo

roulette