Togel Online

Situs Bandar

Situs Togel Terpercaya

Togel Online Hadiah 4D 10 Juta

Bandar Togel

নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন করা সকলের দায়িত্ব

হীরেন পণ্ডিত: নির্বাচন হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের মতামত প্রতিফলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন এবং প্রতিনিধির মাধ্যমেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়ে থাকে। একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন নির্বাহী বিভাগসহ জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে বিশ্বাস করে, সংঘাতে নয়। সেই শান্তি বজায় রাখার জন্য যা যা করণীয় প্রয়োজন তা নিশ্চিত করতে হবে।

আপনি কেন ভোট দেবেন? ভোট আপনার সংবিধানিক অধিকার, ভোট দিয়ে আপনার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা আপনার নাগরিক দায়িত্ব। আপনার পছন্দের প্রার্থী বেছে নিতে হবে, আপনার এলাকার উন্নয়নের জন্য নিবেদিত এমন প্রার্থী বাছাই করতে হবে। আপনার এলাকার উন্নয়নের জন্য আপনাকে সহযোগিতা করতে হবে। আপনার দায়িত্ব দেশের গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত ও সুসংহত করা। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক প্রতিহত করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়ে আপনার স্বাধীনতা, আপনার নাগরিক অধিকার, আপনার ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উন্নয়নকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে সকলকেই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ অর্থাৎ আজ পর্যন্ত আমাদের দেশের উন্নয়ন ও জীবন মান উন্নত হয়েছে, উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সবার দায়িত্ব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হত্যা ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়েছে। গণতন্ত্র সুরক্ষিত ও সুসংহত হয়েছে। আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার ভোটের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।

উন্নয়নের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ধারাও অব্যাহত রাখার প্রয়োজন রয়েছে। দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলে। সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের যেমন দায়িত্ব রয়েছে তেমনি নির্বাহী বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সাংবিধানিক রীতি-নীতি ও বিধিবিধান অনুসরণ করে কমিশনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

২০০৮ সালে নির্বাচনের পর থেকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে সরকার। অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে, পদ্মা সেতুর মতো সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করে সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না’, বাঙালিদের কেউ দাবায়া রাখতে পারেনি-পারবে না।’

২০০৮ সালে নির্বাচনের পর এই ২০২৪ সাল চলমান এই সময়ে দেশে একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজমান, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত বলেই আজকে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে, ভাতের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। গণতান্ত্রিক ধারা নিশ্চিত হয়েছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত আজকে আমাদের অগ্রগতি স্থিতিশীল পরিবেশের জন্যই সম্ভব হয়েছে, এ কথাটা সকলকে মনে রাখতে হবে। স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ পরিবেশই পারে একটি দেশকে উন্নয়নের ধারায় গতিশীল করতে এবং উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে জাতির পিতা আমাদের অন্তত একটা জায়গায় এনেছিলেন। আমরা সেখান আজকে উত্তরণ ঘটিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ, ২০২৬ সাল থেকে আমরা তা বাস্তবায়ন করব। আর ২০৪১ সালের মধ্যে এই বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আগামীর উদীয়মান অর্থনীতি ও বিশ্বরোল মডেলে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে উন্নয়নের গণতন্ত্র নামে নতুন যে শ্লোগান চালু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে।

গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থায় ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন প্রতিনিধি নির্বাচন করে। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের সমান ভোটাধিকার থাকে। খাদ্য-বস্ত্রসহ অন্য অধিকারগুলোর মতো ভোট দেয়ার অধিকারও এক ধরণের নাগরিক অধিকার। সবার ওপরের দিকের নাগরিক অধিকারগুলোর মধ্যে ভোট দেয়ার অধিকার অন্যতম। প্রত্যেক নাগরিক চায় ১৮ বছর হলে দেশ কার দ্বারা পরিচালিত হবে, আমি কার দ্বারা পরিচালিত হবো, আমার শহরটা, আমার এলাকাটা কার দ্বারা পরিচালিত হবে। ওরকম একটা জায়গা থেকে ভোটের অধিকারটা অনেক বড় একটা বিষয়।

ভোটের পুরো আয়োজনটাই ভোটারদের জন্য। প্রার্থীরা যখন নির্বাচনে অংশ নেন তখন ভোটারদের কাছেই ভোট চাইতে যান। এটাই নির্বাচনের মূল স্পিরিট। নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, ভোটের দিন ভোটাররা কেন্দ্রে আসবেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা পরিচয় নিশ্চিত করার পর একজন ভোটার তার পছন্দের প্রার্থী বাছাই করতে ভোট দিবেন।

গত ১৫ বছরে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, নতুন ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ে, টানেল, নতুন-নতুন রাস্তা, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য নিরলস চেষ্টা চলছে, দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার লক্ষ্যে কাজ করছে, বাজার ব্যবস্থাপনায় স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে প্রচেষ্টা চলছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শিক্ষাব্যবস্থায় দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি করার জন্য কাজ চলছে এবং তা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের চেহারা বদলে দিয়েছেন, তা একসময় ছিল অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয় ছিলো। এবারের ১১টি খাতকে চিহ্নিত করে পরিবর্তন আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেটি দেশবাসীকে নতুনভাবে আশান্বিত করেছে ও জনগণ সেই সফল পেতে শুরু করেছে।

বিশ্ব অর্থনীতি চারটি বড় চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে আছে, জলবায়ু পরিবর্তন, যুবদের কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বিশ্বায়নের গ্রহণযোগ্য কাঠামোর অনুসন্ধান। নতুন সৃজনশীল কার্যকর সমাধানের পথ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে ভীতিকর অবস্থায় রয়েছে তা দূর করার জন্য কাজ করছে।

সামাজিক রূপান্তর ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সাহায্য করতে পারে, তবে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো স্বল্পশিক্ষিত শ্রমিকদের জন্য ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিও গুরুত্বপূর্ণ। বেশি বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য কাজ চলছে। দুর্নীতি ও সুশাসনকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, কর্মযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন, লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষিব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো, ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা, সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ,

সাম্প্রদায়িকতা ও সব ধরনের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ রোধ করা এবং সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানোর জন্য সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগুলো সবার প্রশংসা লাভ করেছে।

দুর্নীতি এখনো বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা। ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ দুর্নীতির ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের অঙ্গীকার করেছিল, কিন্তু সরকার এ অঙ্গীকার পূরণকে খুব একটা সফলতার মুখ দেখেনি। তবে ২০২৪ এর নির্বাচনে জয়লাভের পর দুর্নীতি বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। বিশ্বব্যাপী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতি ও ডলার-জ্বালানিসংকটে জনজীবন বিপর্যস্ত। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধসহ নানামুখী সমস্যায় বৈশ্বিক আর্থসামাজিক ব্যবস্থা পর্যুদস্ত। এ সংকট খুব শিগগিরই দূরীভূত হওয়ার নয়।

দেশের অর্থনীতিকে মোটামুটি সচল রাখা পোশাকশিল্পেও নৈরাজ্য সৃষ্টি হতে দেখা যায়। কতিপয় সুযোগসন্ধানী অনাকাক্সিক্ষত কর্মকান্ড চালানোর চেষ্টা করেছে। একের পর এক হরতাল-অবরোধে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় একসঙ্গে যতগুলো সংকট এসেছে, তা অতীতে কখনো মোকাবিলা করতে হয়নি। সেটারই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে আমাদের ওপর। বাইরের এ ধরনের সংকট এলে আমরা ঠেকাতে পারব না। আমরা কোনো রকম রাজনৈতিক অস্থিরতা চাই না, হরতাল-অবরোধ চাই না। এসব করে অর্থনৈতিক সংকটকে আরও গভীর করা হয়েছে। কাজেই দেশের স্বার্থে, শিল্পের স্বার্থে সংকটগুলো সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

নির্বাচনের পর নতুন সরকারকে বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে তা না হলে রিজার্ভ-রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় ছাড়াও রাজস্ব ও ব্যাংক খাত নিয়ে যে ভয়াবহ উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কঠিন হবে। অর্থনীতিকে স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসাই হবে নতুন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ।

দ্রব্যমূল্য, মুদ্রার বিনিময় হার এবং ব্যাংকঋণের সুদের হার নিয়ে কাজ করতে হবে। কিছু স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে দেশের ব্যাংক বা অন্য কোনো খাতে যেন কাঠামোগত সংকট দেখা না দেয় এবং বৈদেশিক দায়দেনা পরিশোধের ক্ষেত্রেও যেন কোনো সমস্যা তৈরি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

সরকার আইএমএফ ও অন্য দাতাদের কাছ থেকে যেসব সংস্কারের শর্তে ঋণ পাচ্ছে, নির্বাচনের পর সেগুলো বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পারলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো ব্যাপারে শঙ্কা তৈরি হতে পারে বলে প্রতীয়মান হয়। বড় ধরনের কোনো সংস্কার ছাড়া অর্থনীতির সংকট মোকাবিলা করা কঠিন হবে। কাজেই অর্থনীতির চাকাকে সচল করতে হলে বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ প্রয়োজন, তার ওপরই অর্থনীতির সংকট উত্তরণ নির্ভর করবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন।

আমাদের মানসম্মত ও কারিগরী শিক্ষার ওপর নজর দিতে হবে। শিক্ষা শেষ করে লাখ লাখ তরুণ দক্ষতার অভাবের কারণে চাকরি খুঁজে পায় না। দেশের অভ্যন্তরে যেমন শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, প্রবাসেও বাংলাদেশ থেকে দক্ষ প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন জনসম্পদের চাহিদা রয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে শৃঙ্খলা, ব্যবস্থাপনা, দক্ষ ও মেধাবী প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগের কোনো বিকল্প নেই।

আমাদের কৃষিব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে বহুমুখী ফসল উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণনব্যবস্থা, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং আধুনিক যান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রয়োগ করেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। কৃষিব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে বাজারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।

সংকট দূর করে উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নিতে অনুকূল পরিবেশের কোনো বিকল্প নেই। রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা ও সহিষ্ণুতা না থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কখনো টেকসই হয় না। নানা ধরনের প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে সচল রাখতে হলে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সুশাসন দরকার। যেকোনো সমস্যা সমাধানে যৌক্তিক আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতায় দল-মতনির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিককে নিজের অবস্থান থেকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতার পাশাপাশি জনমত গঠন জরুরি। সব অপতৎপরতা
প্রতিরোধ করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দেশ গঠনে মনোযোগ দিতে হবে।

বাংলাদেশকে শুধু তৈরি পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভরশীল না থেকে শিল্পের বহুমুখীকরণের দিকে এখনই গুরুত্ব দিতে হবে এবং রপ্তানী বহুমুখী করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক জোন তৈরি করেছেন। সেগুলোকে কীভাবে কাজে লাগানো, বিদেশি উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করা ও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা যায়, সে বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করতে পারে। আমাদের সমাজে দুর্নীতি নানাভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সমাজে যোগ্য মেধাবী, দক্ষ ও অভিজ্ঞরা ভূমিকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। সব ধরনের প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি, সেবা, পরিষেবায় স্বচ্ছতা নিয়ে আসতে হবে।

লেখক: প্রাবন্ধিক ও গবেষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

slot qris

slot bet 100 rupiah

slot spaceman

mahjong ways

spaceman slot

situs togel

aplikasi togel

togel online sydney