Togel Online

Situs Bandar

Situs Togel Terpercaya

Togel Online Hadiah 4D 10 Juta

Bandar Togel

অর্থনৈতিক উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখছে ফ্রিল্যান্সিং


হীরেন পণ্ডিত: ভারতের পর বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সিং উৎস। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০ হাজার ফেসবুকভিত্তিক উদ্যোক্তা রয়েছেন। বাংলাদেশে প্রায় ৪৩ মিলিয়ন ফেসবুক অ্যাকাউন্টসহ (নভেম্বর-২০২১) প্ল্যাটফর্মটি ব্যবসায়ীদের আরও বিস্তৃত এবং বৈচিত্র্যময় স্কেলে ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ করে দেয়। সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে উদ্দীপিত করতে প্রয়োজনীয় নীতিগত সহায়তা ও প্রণোদনা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
সরকার এর পক্ষ থেকে সম্প্রতি ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড ইস্যু করা শুরু করেছে, যা বাংলাদেশে প্রায় ৬৫০,০০০ আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত পেশাজীবীদের পরিচয় প্রদান করছে। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং খাতকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক আইটি ফ্রিল্যান্সারদের প্রয়োজনীয় ঋণ ও ক্রেডিট কার্ড প্রদানের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
ডিজিটালাইজেশন এর কারণে বিশ্বজুড়ে অনেক নতুন পেশার সৃষ্টি হয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে একটি। নতুন একটি প্রতিযোগিতামূলক এবং উদ্ভাবনী পেশা হিসেবে শ্রমবাজার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তিরা যারা বেশিরভাগই বাড়ি থেকে কাজ করেন। গত দুই দশকের তুলনায় গত বছরগুলিতে সংখ্যায় এ পেশায় মানুষের সম্পৃক্ততা বেড়েছে এবং এখনও প্রতিদিন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গত দু’বছরে মহামারীর কারণে এর পরিচিতি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পেশার জন্য ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত একটি কম্পিউটারের সামনে বসেই এই কাজ করা যায়। আপনাকে কাজের জন্য ভ্রমণ করতে হবে না। মানুষ বুঝতে পারছে যে “নিরাপদ এবং সুরক্ষিত” কাজের ধারণাটি কেবল একটি স্বপ্ন যা যে কোন সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এখন একটি নির্দিষ্ট শহর বা শহরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসে কাজ করার আর কোন প্রয়োজন নেই, আমরা সবাই এখন ইন্টারনেটের গ্লোবাল ভিলেজে বাস করি।

অনেক প্রদত্ত প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন কাজের বিবরণ থেকে বেছে নেওয়ার বিকল্পসহ, ফ্রিল্যান্সিং কাজের সুযোগ থাকে যাদের ইন্টারনেট সংযোগ আছে এমন যে কেউ এই কাজ করতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং এর নমনীয়তা, প্রতিযোগিতামূলক মূল্য এবং উপলব্ধ সুযোগের আধিক্যসহ অনেক কারণেই এই পেশা এখন বেশ জনপ্রিয়। ঘরে বসে বা যারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান তাদের জন্য একটি উপযোগী পেশা। অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে ক্রমবর্ধমান এই ক্ষেত্রটি বৃহৎ একটি ফ্রিল্যান্স কর্মীবাহিনী তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোন তৈরির সাথে সাথে, কাজের প্রকৃতি গত এক দশকে পরিবর্তিত হয়েছে। কর্মী নিয়োগকারী প্রক্রিয়া আরো গতিশীল হয়েছে যা আগের শতাব্দীতে উপস্থিত ছিলনা তা এখন বৈপ্লবিকভাবে বিকশিত হতে শুরু করেছে, নতুন ধরনের কাজের জন্য পথ প্রশস্ত করেছে যা দুই দশক আগে অকল্পনীয় ছিল।

বিশ্বজুড়ে অনেক পেশার ডিজিটালাইজেশন একটি নতুন, প্রতিযোগিতামূলক এবং উদ্ভাবনী শ্রমবাজার তৈরিতে অবদান রেখেছে। আত্ম-কর্মসংস্থানে নিযুক্ত ব্যক্তিরা যারা বেশির ভাগই দূর থেকে কাজ করে তাদের সংখ্যা গত বিশ বছরের তুলনায় গত দুই বছরে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ব্যক্তিদের বলা হয় ফ্রিল্যান্সার।

গত এক দশকে, বাংলাদেশ একটি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে এবং অর্ধ মিলিয়ন সক্রিয় ফ্রিল্যান্সারসহ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অনলাইন শ্রম সরবরাহকারী দেশ। বাংলাদেশের ডিজিটাল অবকাঠামোর বিস্তার প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা এবং মোট গ্রাহকের সংখ্যা উভয় ক্ষেত্রেই প্ল্যাটফর্ম অর্থনীতিকে বিগত বছরগুলিতে দ্রুত প্রসারিত করতে সক্ষম করেছে।

দ্রুত ডিজিটালাইজেশনের আবির্ভাবের সাথে, বাংলাদেশের মতো অনেক উন্নয়নশীল দেশ ডিজিটাল অর্থনীতির উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করছে, ডিজিটাল আউটসোর্সিংয়ের একটি বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশের নিরন্তর চেষ্টা রয়েছে এবং এক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়েও গেছে। একটি দেশের অর্থনীতির ডিজিটালাইজেশন কেবল তার পরিষেবা শিল্পে উদ্ভাবনই চালায় না বরং দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সক্ষম করে, অভ্যন্তরীণ কাজের সুযোগগুলিকেও জ্বালানি দেয়।

খরচ এবং ঝুঁকি কমানোর জন্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশগুলির অনেক বড় কর্পোরেশন বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলি থেকে আইটি আউটসোর্সিং-এর দিকে ঝুঁকছে, যার ফলে ফ্রিল্যান্সিং-এর সাম্প্রতিক বিকাশ ঘটেছে বৈপ্লবিকভাবে।

ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে, ওয়েব ডিজাইন, ট্যাক্স প্রস্তুতি এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত থাকে। এটি উদীয়মান বাজারের লোকেদের জন্য বিস্তৃত নতুন সুযোগ তৈরি করেছে যা আগে বিদ্যমান ছিল না। এশিয়া বিশ্বের বাকি অংশে আউটসোর্সিং সেবা প্রদানের জন্য এক নম্বর অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।

গত কয়েক বছরে বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) সেক্টর ব্যাপক সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে গেছে এবং এটি বছরের পর বছর ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং আরও সম্প্রসারণের লক্ষণ প্রতীয়মা হচ্ছে।

দ্রুত ডিজিটালাইজেশনের আবির্ভাবের সঙ্গে, বাংলাদেশের মতো অনেক উন্নয়নশীল দেশ ডিজিটাল অর্থনীতিতে মনোনিবেশ করছে : ডিজিটাল আউটসোর্সিংয়ের একটি বৈশ্বিক বাজার। একটি দেশের অর্থনীতির ডিজিটালাইজেশন কেবল তার পরিষেবা শিল্পে নতুনত্বকে চালিত করে না, এটি দেশীয় কর্মসংস্থানের সুযোগকেও জ্বালানি দেয়, দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সক্ষম করে তোলে।

ব্যয় এবং ঝুঁকি হ্রাসের সন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশগুলোর অনেকগুলো বৃহৎ সংস্থা করপোরেশন বাংলাদেশসহ দেশগুলো থেকে আউটসোর্সিংয়ের দিকে ঝুঁকছে, যা ফ্রিল্যান্সিংয়ে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং জবসের মধ্যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে ওয়েব ডিজাইন, কর প্রস্তুতি এবং অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন সবকিছু অন্তর্ভুক্ত। এটি উদীয়মান বাজারগুলোতে মানুষের জন্য বিস্তৃত নতুন সুযোগ তৈরি করেছে যা আগে ছিল না।

এশিয়া বিশ্বজুড়ে আউটসোর্সিং পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এক নম্বর অঞ্চল হয়ে উঠেছে। বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) সেক্টর বিগত কয়েক বছরে ব্যাপক প্রসার ঘটেছে এবং এটি বছরের পর বছর ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি আরও বিস্তারের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ২০০০ সালে যখন এই সেক্টরটি প্রথম চালু করা হয়েছিল তখন এটি কেবল ৪ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছিল এবং সংস্থাগুলো টেলিকম নিয়ন্ত্রকের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হয়েছিল কিন্তু তারা তাদের কাজ খুব দ্রুত বন্ধ করে দিয়েছিল তবে টেলিকম বিধিবিধানের দিনগুলো অতিবাহিত হওয়ায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলো ও নিয়মগুলো পরিবর্তনের ফলে এই উপার্জন এখন ১৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশের দ্রুত ডিজিটালাইজেশন- শহর অঞ্চলে সহজ ইন্টারনেট অ্যাক্সেসসহ এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রচারের জন্য সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগগুলো- এই কাজের সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। ফলস্বরূপ, অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট (ওআইআই) অনুসারে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অনলাইন শ্রমের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী দেশে পরিণত হয়েছে। দেশে প্রায় ৬৫০,০০০ নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে প্রায় ৫০০,০০০ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সাররা নিয়মিত কাজ করছেন; তাদের মধ্যে তারা বার্ষিক ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগ।

ভারত অনলাইনে শ্রমের বৃহত্তম সরবরাহকারী, মোট বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্স কর্মীদেও ভারত প্রায় ২৪%, তারপরে বাংলাদেশ (১৬%) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১২%) রয়েছে। বিভিন্ন দেশ ফ্রিল্যান্সিং পরিষেবার বিভিন্ন খাতে মনোনিবেশ করে।

উদাহরণস্বরূপ, প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার বিকাশ ভারতীয় ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা প্রাধান্য পেয়েছে, অন্যদিকে বিক্রয় ও বিপণন সমর্থন পরিষেবাদির শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) খাতের মাধ্যমে ২ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে যা এখন ৪০ হাজার জনকে কর্মসংস্থান করে।

বাংলাদেশে বিপিও খাত যে কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে তার অন্যতম প্রধান কারণ উৎপাদন ব্যয় অর্থনীতি, জনসংখ্যা, শ্রম ব্যয়, আইটি দক্ষতা এবং ইংরেজির মতো বিষয়গুলো বিপিও অপারেটরদের নতুন কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশের মূল প্রতিযোগিতা। ফিলিপাইনের মতো অন্যান্য বিপিও দেশের (শ্রমিক ব্যয় ২০) এবং ভারতের (১৫ ডলার) তুলনায় শ্রমের ব্যয় প্রতি ঘণ্টা প্রায় ৮ ডলার। ডিউটিটেকার, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড, এএসএল বিপিও, সার্ভিসিনজিন বিপিও, ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেড, ফিফোটেক, কুইন্টস বিজনেস সলিউশনস, আমরা আউটসোর্সিং, সিনটেক সলিউশনস লিমিটেড, বিসিএস, মাই আউটসোর্সিং লিমিটেড বাংলাদেশের সুপরিচিত বিপিও অপারেটরদের মধ্যে কয়েকজন।

কোকা-কোলা এবং স্যামসংয়ের মতো নামি বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডগুলোও বাংলাদেশি বিপিও এবং মোবাইল অপারেটরদের কল সেন্টার কার্যক্রম গ্রহণ করে, ভোক্তার পণ্যশিল্প এবং হাসপাতালগুলো স্থানীয় বিপিও শিল্প থেকে পরিষেবা গ্রহণ করে এবং বর্তমানে স্থানীয় বিপিওগুলোও ব্যাংকগুলোকে সেবা দেওয়ার পথে রয়েছে। ১৮০ মিলিয়ন ডলারের বাজার শেয়ার বর্তমানে বাংলাদেশের মালিকানাধীন এবং বাংলাদেশ যদি এই সুবর্ণ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে তবে এই খাতটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম হয়ে উঠতে পারে।

বাংলাদেশের আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ ও দুর্দান্ত প্লাসপয়েন্ট রয়েছে যা হলো জনসংখ্যা। এখানে ১১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ রয়েছে যারা যুবক এবং তারা এই শিল্পের উত্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ৪৪তম বৃহত্তম বাজার ভিত্তিক অর্থনীতি এবং বাংলাদেশ দ্বিতীয় দ্রুত বর্ধনশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের অর্থনীতিতে স্থান করে নিয়েছে। দেশ ক্রমাগতভাবে বিকাশ লাভ করছে এবং এটি উন্নত দেশগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে যা এখন তাদের আইটি এবং আইটিইএস পণ্য আউটসোর্স করার পরিকল্পনা করছে তারা আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার্স, ফাইভার এবং বেলার্সের মতো বিভিন্ন প্লাটফর্মের মাধ্যমে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার ভাড়া করে।

বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে বিলিয়ন ডলার আউটসোর্সিং রাজস্ব পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছে। গত ২০২১ সালে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং থেকে এক বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। উল্লেখ্য, উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করতে বাংলাদেশ সরকার ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিপিও এজেন্সিগুলো থেকে ট্যাক্স অপসারণ করেছে এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় আইনি চ্যানেলের মাধ্যমে যেসব এজেন্সি অর্থ আনছে তাদের জন্য ১০% প্রণোদনা প্রদান শুরু করেছে।

কিন্তু বেশির ভাগ সময় এই অর্থ ব্যাংক হিসাবে আইনি চ্যানেলের মাধ্যমে আসছে না যেহেতু বাংলাদেশে পেপাল ব্যবহৃত হয় না যার জন্য আমরা সঠিকভাবে রেমিট্যান্স আমরা পাচ্ছি না! আমরা যদি চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থের এই প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তবে আমাদের আয়ের হারটি দুর্দান্ত পরিমাণে বাড়বে! এটি একটি খুব সুপরিচিত সত্য যে বাংলাদেশে চাকরির সুযোগের অভাব রয়েছে তবে একমাত্র বিপিও খাতের কারণে এখন ৪৫,০০০ লোককে চাকরি দেওয়া হচ্ছে।

যার শুরুতে পুরো খাতটিতে মাত্র ৯০০ জন লোক কাজ করত, এটি এই খাতটির যে প্রতিশ্রুতি ছিল তারই প্রমাণ দেখা যায়। এই খাত বৃদ্ধিও পেছনের কারণও রয়েছে সরকারের নিয়মকানুনের মাধ্যমে। সরকার যে বর্তমান প্রণোদনা দিচ্ছে সেগুলো নিচে দেওয়া হলো- ২০২৪ অবধি ১০০% কর ছাড় থাকবে। বিদেশি কর্মীদের জন্য প্রথম ৩ বছরের জন্য ৫০% কর হ্রাস। ভাড়া এবং ইউটিলিটিগুলোর জন্য ৮০% ভ্যাট অব্যাহতি। মোট রফতানি আয়ে ১০% পর্যন্ত নগদ ফিরে বিদেশি ইকিউটি হোল্ডিংয়ের ওপর কোনো বাধা নেই। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত এই ধরনের লোভনীয় প্রণোদনাসহ এ কারণেই সংস্থাগুলো এখন এখানে এসে তাদের সংস্থাগুলো গড়ে তোলার দিকে ঝুঁকছেন।

বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের বর্তমানে প্রচুর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ক্লায়েন্ট রয়েছে এবং এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সিং প্রতিভা সরবরাহকারী। যুবসমাজের বিশাল জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশ এশিয়ার কয়েকটি দেশগুলোর মধ্যে একটি। এর ১৬৩ মিলিয়ন লোকের মধ্যে প্রায় ৬৫%; ২৫ বছরের কম বয়সি। এই বিশাল, তরুণ ও শক্তিশালী মানবসম্পদ, এখনো প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক বাজারে সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানের অভাব রয়েছে।

যদিও ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং গত কয়েক বছরে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, হাজার হাজার বাংলাদেশের তরুণ এই সুযোগটি কাজে লাগাতে তাদের সহায়তা করার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং সরকারি সহায়তার প্রয়োজন। আমাদের আইটি সেক্টর এবং আইটি উন্নয়নের উত্থানের কারণে বাংলাদেশে আউটসোর্সিং বেড়েছে। পাশাপাশি সরকারের সহায়তায় এটি এখন উদীয়মান অবস্থায় রয়েছে। সরকার এই খাতকে অন্য আর এমজি খাত হিসেবে দেখেছে যা প্রচুর বিদেশি রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

আউটসোর্সিং বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো দুর্দান্ত মাইলস্টোনে পৌঁছানোর জন্য প্রভাবিত করেছে এবং যতক্ষণ না সবকিছু সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করে এবং যদি সরকার কর্তৃক গৃহীত পরিকল্পনাগুলো সফলভাবে সম্পন্ন হয় তাহলে এক্ষেত্র থেকে অর্থনীতির আরো সফলতা পাওয়া যাবে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের ভবিষ্যৎ কী? আশাব্যঞ্জক, না তেমন কিছু নেই? অনেকেই এই প্রশ্ন করেন। অনেকেই স্বাধীন এ পেশার পক্ষে বলেন। আবার বিপক্ষে বলেন অনেকে। কেউ কেউ বলেন, যেখানে আয়েরই নিশ্চয়তা নেই, তা ভালো হয় কীভাবে? অনেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন, অন্যকে উৎসাহিত করেছেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু মর্যাদার দিক থেকে কি চাকরিজীবীদের সমান ধরা হয় না তাঁদের? বিয়ের বাজারে তাঁদের কদরই-বা কতটুকু?

সত্যি বলতে কি, যাঁরা আউটসোর্সিংয়ে জড়িত, তাঁদের কোনো বিচারেই ঘড়ি ধরে কাজ করা চাকরিজীবীর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। কারণ, ফ্রিল্যান্সারের কাজ যখন-তখন। অনেকে তো রাত জেগে কাজ করেন। তবে তাঁদের মুক্ত এ স্বাধীন পেশায় করপোরেট জগতের কর্তৃপক্ষের চাপ নেই।

কিন্তু কাজের চাপ একেবারে কম থাকে না। দেশে বা বিদেশে কাজের ক্ষেত্রে ‘আপওয়ার্ক’, ‘ফাইবার’ বা অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে কাজের ক্ষেত্রে মান নিশ্চিত করতে হয়। প্রতিযোগিতা করতে হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের সাথে।

কাজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারলে তবে ভালো পারিশ্রমিক মেলে। ফ্রিল্যান্সিং এমন এক পেশা, যেখানে প্রথাগত চাকরির আর দশটা নিয়মকানুন নেই। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে না করলে শর্টকাট সফলতার কোনো সুযোগ নেই।

বাংলাদেশে এখন ঘরে বসে ইন্টারনেটে আয় বা অনলাইনে কাজ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চাকরির চেয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ নিয়ে অনেকেই এখন ঝুঁকছেন ফ্রিল্যান্সিংয়ে। বর্তমানে বিশ্বে আউটসোর্সিং তালিকায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে।

এখানে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচ লাখ কাজ করেন মাসিক আয়ের ভিত্তিতে। বিশাল এ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ তরুণ। তাঁরা চাকরির বদলে ফ্রিল্যান্সিংকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন।

ফ্রিল্যান্সিং অনেকের কাছে ভালো লাগে। কারণ, এতে কাজের স্বাধীনতা আছে। ডলারে আয় করার সুযোগ আছে। পছন্দমতো কাজ বেছে নেওয়ার সুযোগ আছে, যা বাঁধাধরা চাকরিতে নেই। এ কাজে চ্যালেঞ্জ আছে। কাজ বাছাই করা ও কাজটি ঠিকভাবে সম্পন্ন না করলে এখাতে সফল হওয়া যায় না। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা প্রথাগত চাকরির চেয়ে ফ্রিল্যান্সারকে এগিয়ে রাখতে পারে।

এখন প্রতিযোগিতার বাজার। নতুনদের জন্য কাজ পাওয়া কঠিন। কিন্তু অভিজ্ঞতা আর নতুন দক্ষতা বাড়াতে পারলে এ ক্ষেত্রে সফল হওয়া যায়। কিন্তু কারও দীর্ঘমেয়াদি পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করা ঠিক হবে না। এর চেয়ে ক্রমাগত দক্ষতা বাড়াতে হবে। কেউ যদি চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, তা করা ঠিক হবে না। কাজের দক্ষতা থাকলে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য কিছু করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞজনেরা ভালো করেন।

দীর্ঘ মেয়াদে কেউ একা ফ্রিল্যান্সিং করুক সেটি ভালো নয়। একটি সময় পর্যন্ত একা একা ফ্রিল্যান্সিং করা যেতে পারে বা দক্ষতা বাড়ানো যেতে পারে। এরপরই চাকরিতে ঢোকা উচিত। নিজের প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে হলে বা স্টার্টআপ দিতে হলেও কিছুদিন চাকরি করা উচিত। তা না হলে পেশাদার কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতাগুলো, বিশেষ করে ব্যবস্থাপনা, দলগত কাজের বিষয়গুলো জানা উচিত। এতে আয় বাড়ে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজের ব্যবসা শুরুর আগে বা পেশা হিসেবে নেওয়ার আগে কোম্পানির অভিজ্ঞতা জরুরি।

ফ্রিল্যান্সিং স্বাধীন কাজের সুযোগ রয়েছে বলে এটি অনেকের পছন্দের। কিন্তু এখাতে দক্ষতা না হলে কাজ করা কঠিন। বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। দেশজুড়ে নামমাত্র প্রশিক্ষণে অনেকেই দক্ষ না হয়ে এ পেশায় আসছেন। কাজের মান ভালো না হওয়ায় কাজ পাওয়া যেমন কঠিন হচ্ছে, তেমনি কাজের দর পড়ে যাচ্ছে। দক্ষ না হয়ে ফ্রিল্যান্সিং করলে সবার ক্ষতি। তবে দক্ষ হয়ে দলগতভাবে কাজ করলে এ ক্ষেত্রে সফলতা আসবে।

নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে যে-কেউ ফ্রিল্যান্সার হতে পারে। তবে কাজে দক্ষ হয়ে তবে এ পেশায় আসা উচিত। সরকার যে ফ্রিল্যান্সিং খাত থেকে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের স্বপ্ন দেখছে, তাতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আরও সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার। বিশেষ করে জেলা শহরগুলোতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করা এবং ইন্টারনেটের দাম সহনীয় রাখা। এ বিষয়গুলোয় জোর দেওয়া হচ্ছে।

সরকার ও সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বেসিস চাইছে, এই ফ্রিল্যান্সাররা এখন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠুক। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে, আরও নতুন ফ্রিল্যান্সার আসবে। ফ্রিল্যান্সিংকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিলে তা তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। সরকার স্টার্টআপদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। ব্যাংকও এ খাতে কাজ করছে। অর্থাৎ বাজার তৈরি রয়েছে। বেসিস থেকে ফ্রিল্যান্সারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিংকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য সুবিধাও ঘোষণা করা হয়েছে। যেমন ব্যাংক এশিয়া থেকে ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধা দিতে বেসিসের সঙ্গে মিলে স্বাধীন নামে প্রি-পেইড কার্ড চালু করা হয়েছে। এ কার্ডের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা বিদেশ থেকে দেশে লেনদেন করতে পারছেন।

ফ্রিল্যান্সারদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য বেসিসের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দলগতভাবে বা এককভাবে (প্রোপ্রাইটরশিপ) বেসিসের সদস্য হওয়ার সুযোগ আছে। পুরো প্রক্রিয়াটা সহজ করার পদক্ষেপ নেওয়ার আরো প্রয়োজন রয়েছে।

এর মধ্যে সহজে ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া, আইনি সহায়তা, ঋণ, দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ, বিপণন কৌশল ও ব্র্যান্ডিংয়ে সহায়তা করার বিষয়গুলো রয়েছে। এ ছাড়া দেশে যেসব হাইটেক পার্ক হচ্ছে, সেগুলোয় ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি করে ফ্লোর রাখার বিষয়ে কাজ চলছে।

নিজস্ব এলাকা থেকে কাজ করতে পেরেই অনেকে খুশি। তবে দ্রুতগতির ইন্টারনেট আর এর দাম কমাটা জরুরি। ঢাকাসহ সারা দেশে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে যেসব সেমিনার হয়, সেখানে তরুণদের অংশগ্রহণ থাকে চোখে পড়ার মতো। দেশে ইতিমধ্যে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে।

সরকারি ও বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। গড়ে উঠছে ফ্রিল্যান্সারদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান বা স্টার্টআপ। এ খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকার স্টার্টআপদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। ব্যাংকও এ খাতে কাজ করছে। অর্থাৎ বাজার তৈরি আছে। তবে এ খাতের মূল সমস্যা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সারদের ‘আইডেনটিটি ক্রাইসিস’। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ সমস্যা কাটতে শুরু করেছে। অনেকেই এ খাতে ভালো করে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। কারণ, ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে এখন সবখানেই আলোচনা চলছে। অনেকেই বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরছেন। আইডেনটিটি ক্রাইসিস নয়, বাংলাদেশের পরিচয় তুলে ধরছেন। এভাবেই এই ফ্রিল্যান্সিং খাতটি হয়ে উঠছে প্রতিশ্রুতিশীল একটি খাত।

লেখক: প্রাবন্ধিক ও রিসার্চ ফেলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

slot qris

slot bet 100 rupiah

slot spaceman

mahjong ways

spaceman slot

slot olympus slot deposit 10 ribu slot bet 100 rupiah scatter pink slot deposit pulsa slot gacor slot princess slot server thailand super gacor slot server thailand slot depo 10k slot777 online slot bet 100 rupiah deposit 25 bonus 25 slot joker123 situs slot gacor slot deposit qris slot joker123 slot deposit ovo mahjong scatter hitam

situs togel

aplikasi togel

togel online sydney

https://www.chicagokebabrestaurant.com/

sicbo

roulette