দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ দরকার


হীরেন পণ্ডিত: খাদ্যপণ্যের দাম সাম্প্রতিক সময়ে বেশ বেড়ে যাওয়ার প্রতিফলন ঘটেছে আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতির হিসেবে। আগের দুই মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছিল, তবে সরকারের প্রত্যাশা ছাপিয়ে গত মাসে তা অনেকটা বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি ওঠানামা করবে।

বাজারের স্বাধীনতা আছে। যখন মূল্যস্ফীতি বাড়ে, তখন মানুষ একটু চাপে থাকে। তখন অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা কমিয়ে দেয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আগস্ট মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি এখন ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গত আগস্ট মাসে ডিম, মুরগিসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। এসব পণ্য মানুষকে যন্ত্রণা দিয়েছে। চালের দাম স্থিতিশীল। তবে মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জিং।

সরকারের প্রত্যাশা ছিল আগস্টে মূল্যস্ফীতি কমবে। ২৯ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভার (একনেক) পর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মূল্যস্ফীতি জোর করে কমানো যায় না। কার্যকর নীতি গ্রহণ করতে হবে। আমি ঝুঁকি নিয়ে বলতে পারি, চলতি আগস্টে মূল্যস্ফীতি ২ থেকে ৪ পয়েন্ট কমবে। গড় মূল্যস্ফীতি এখন ৯ শতাংশ হলেও যাদের আয় সীমিত, তাদের কাছে মূল্যস্ফীতির হার হবে দ্বিগুণেরও বেশি। দেশের মূল্যস্ফীতি তাপমাত্রার মতো। কাগজে-কলমে যতটা, অনুভূত হয় আরও বেশি। গড় মূল্যস্ফীতি এখন ৯ শতাংশ হলেও যাদের আয় সীমিত, তাদের কাছে মূল্যস্ফীতির হার হবে দ্বিগুণেরও বেশি।

চাল, তেল, চিনিসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়ছে। দেশের মানুষ হিমশিম খাচ্ছে মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের নজিরবিহীন ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ সংকটে রয়েছে এবং নাভিশ্বাস উঠা উপক্রম। তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণ করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তবে অনেক দেশই এখন সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির সংকটে আছে। আর বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার কারণ হিসেবে প্রধানত মহামারির প্রভাব, ইউক্রেন যুদ্ধ, জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য, পরিবহন খরচ ব্যাপক বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করা হয়। কতদিন অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে এগুলো তা এখনও অজানা। বাজারে যখন মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে যায় কিন্তু পণ্য বা সেবার পরিমাণ একই থাকে তখনই মূল্যস্ফীতি হয়। বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া কঠিন হলেও নানা সংস্থার হিসাবে এখন মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের এর মতো।

তবে সরকারকে স্বস্তি দিচ্ছে রফতানির ইতিবাচক ধারা। মার্চ মাসে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতানি করে ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৪ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি। তবে গত দুই-এক মাসে রেমিট্যান্সের প্রভাব একটু কমেছে। মূল্যস্ফীতির ধকল কমাতে বাজার ব্যবস্থায় মনিটরিং আরও জোরদার করা দরকার যাতে করে মানুষ বাজারে যে দামে আসে সেই দামের চেয়ে বহুগুণ বেশি টাকা দিতে না হয়। পণ্য যে মূল্যে আনা হয় আর বাজারে যে মূল্যে থাকা উচিত সেটিই যেন থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য যা যা করা প্রয়োজন সরকারকে সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জনজীবনে অনেক দুর্ভোগ নেমে এসেছে এবং সেই দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ করছে না। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছেন। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ এবং মধ্যবিত্ত সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে। একবার যে পণ্যের দাম বাড়ছে, তা আর কমছে না। সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এ ব্যাপারে কাজ করলেও, তা তেমন কার্যকর ভূমিকা না রাখায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসছে না। ক্রমেই তা ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।

বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যায়, দেশে সংরক্ষণের অভাবে বছরে ৩০ শতাংশ খাদ্যপণ্য নষ্ট হয়। ফলে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাপ কমাতে এটি অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে। এসব বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারলেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতিতে আরও অনেকেরই নাভিশ্বাস অবস্থা। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নয়, ২০২২ সালের সঙ্গে চলতি বছরের একই মাসের তুলনা করলে দেখা যায় আরও অনেক খাতেই সবাইকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।

সরকার এই অর্থবছরের জন্য লক্ষ্যমাত্রা পরে সংশোধন করে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু বর্তমান হার তার চেয়েও বেশি। ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর সংকট আরও গভীর হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় অনেকে ভ্রমণ ও পোশাকের বাজেট কমিয়েছেন। জ্বালানির দামবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পরিবহন ব্যয়, চিকিৎসা ব্যয় ও শিক্ষা ব্যয়ের কারণে মাসিক বেতন দিয়ে সব খরচ মেটাতে পারছেন না অনেকেই।

গত এক বছরে ভোজ্য তেলের মতো বিভিন্ন আমদানিভিত্তিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো ভোক্তা স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব দেখেননি বা দেখতে পাওয়া যায় না। কারণ মার্কিন ডলারের ঘাটতি এবং সরকারি সংস্থাগুলো পেট্রোলিয়াম ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য উচ্চতর আমদানি ব্যয়ের কারণে আমদানিকারকরা দাম কমায়নি। তবে, এর পেছনের কারণ হিসেবে সরবরাহে অসংগতিকে দায়ী করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে পণ্যের উচ্চমূল্য শুধু বাহ্যিক বা আন্তর্জাতিক বাজারের কারণেই নয়। এর পেছনে আছে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের অভাব, বাজারের সিন্ডিকেট, প্রয়োজনীয় মনিটরিংয়ের অভাব ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকা। গত এক বছরে কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সামান্য কমেছে। তবে দাম বেড়েছে এমন পণ্যের তালিকাই দীর্ঘ। বাংলাদেশের ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে শুধু চাল, ভোজ্য তেল ও মসুর ডালের দাম কমেছে। অন্যদিকে পেঁয়াজ, আলু, ডিম ও চিনির মতো অন্যান্য নিত্যপ্রয়েজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে।

দাম বৃদ্ধির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা ৩০ শতাংশ কমাতে হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়াও করা বন্ধ করে দিতে হয়েছে অনেক নিম্ন আয়ের মানুষকে। বাজারে পণ্যের দামের পরিস্থিতিতে অনেকে চিন্তিত। মুদ্রাস্ফীতির কারণে শিক্ষা, চিকিৎসা ও বিনোদন খাতে ব্যয় কমাতে বাধ্য হয়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এটি ভবিষ্যতে তাদের জীবনে নেতিবাচক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। সব ধরনের ব্যয় বৃদ্ধির ফলে স্থায়ী আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান খারাপ হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মধ্যম ও স্থির আয়ের মানুষের দুর্দশা আরও বেড়েছে।
বর্তমান সময়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে নামিদামি পত্রপত্রিকা কিংবা অন্যান্য মাধ্যমে যে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে সেটি হচ্ছে-দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এমন অস্বাভাবিক, অনাকাক্সিক্ষত এবং আকস্মিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। ফলে স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জীবনধারণ ক্রমশ দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। তাদের কাছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যেন নতুন এক অভিশাপের নাম। এভাবে চলতে থাকলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়বে।

কোভিড মহামারির ধাক্কায় গত দুই-আড়াই বছরের মধ্যে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে। আবার অনেকেই বেতন-ভাতা বৃদ্ধির কোনো লক্ষণ তো দেখছেনই না, বরং উল্টো মালিক নানা অজুহাতে কর্মীদের বেতন-ভাতা কমিয়ে দিচ্ছে। কোথাও কোথাও কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটছে। দ্রব্যমূল্য না কমলে এসব মানুষের অবস্থা কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াবে তা অনুমান করা যায় খুব সহজেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষের জীবনে কী রকম বিরূপ প্রভাব ফেলছে তা সঠিকভাবে অনুধাবন করার জন্যে টিসিবির পণ্যের গাড়িতে কিংবা ওএমএসের পণ্যের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের দীর্ঘ লাইনের দিকে দৃষ্টি দিলেই বোঝা যায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির রেশ শুধু যে কাঁচামালের বাজারকেই গরম করেছে তা কিন্তু নয়, বরং শিক্ষার্থীরা যে শিক্ষাসামগ্রী ক্রয় করত সেগুলোর মূল্যও যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির কারণ হচ্ছে ব্যবসায়ীদের অত্যধিক হারে মুনাফা লাভের আসক্তি, অবৈধভাবে যেকোনো পণ্যের মজুদ বৃদ্ধি, খাদ্যদ্রব্য কিংবা বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল ও জ্বালানি সংকট, ন্যায়সংগত ও নির্ধারিত মূল্য নির্ধারণ না করা, বাজার তদারকিতে অনীহা ইত্যাদি। তবে এই বিষয়গুলোর সঙ্গে গ্যাস, তেল ও বিদ্যুতের সংকট কিংবা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবও বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়কে অনেকাংশে কঠিন করে তুলেছে। চলমান যুদ্ধের কারণে তেল আমদানিতে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এমনকি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে অযাচিতভাবে।

দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতি চলতে থাকলে অতি দ্রুত আমাদের অর্থনীতি সমস্যায় পড়বে। তাই এখনই সরকারকে যুগোপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে যে কাজটি করা দরকার বলে মনে হয় তা হলো, বাজার নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পৃক্ত অর্থাৎ দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান যেমন টিসিবি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে দ্রব্যমূল্যের আকস্মিক পরিবর্তন ঘটানো দুষ্কৃতকারীদের মূলোৎপাটন করতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে অবৈধভাবে অধিকহারে পণ্য মজুদ করতে না পারে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি আমদানি নির্ভরশীলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারকে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে। পচনশীল খাদ্যপণ্যের যথাযথ সংরক্ষণের জন্য উপজেলাভিত্তিক হিমাগার স্থাপন করা যেতে পারে। দেশে সংরক্ষণের অভাবে বছরে যে ৩০ শতাংশ খাদ্যপণ্য নষ্ট হয় তা না হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। ফলে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাপ কমাতে এটি অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে।

অপচয় রোধ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। মূলত আমরা যদি আমাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি উৎপাদনে সচেষ্ট হই, তবে একদিকে যেমন আমদানির প্রবণতা কমে আসবে, ঠিক তেমনি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের অসৎ উদ্দেশ্যও নস্যাৎ হবে। মনে রাখতে হবে, বাজার নিয়ন্ত্রণের সামগ্রিক বিষয় আমাদের হাতে থাকে না বটে, কিন্তু আমরা যদি সচেতন হই, তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিম্নগামী হতে বাধ্য এবং মুদ্রাস্ফীতিকেও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা সম্ভব হবে।

প্রাবন্ধিক ও গবেষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *