হীরেন পণ্ডিত: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এবারের ইশতেহারের স্লোগান-‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। এতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করে ১১টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, আয়ের মধ্যে সঙ্গতি প্রতিষ্ঠা, দেশের রূপান্তর ও উন্নয়নে তরুণ এবং যুব সমাজকে সম্পৃক্ত রাখা, পুঁজি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ঘুষ-দুর্নীতি উচ্ছেদ, ঋণ-কর-বিলখেলাপি ও দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় এনে তাদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নাগরিক সেবা প্রদানের অঙ্গীকার
এছাড়া গুরুত্ব পেয়েছে কৃষি, সেবা, অর্থনৈতিক ও শিল্প উৎপাদন খাত, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মৌলিক অধিকারও নিশ্চিত করা। প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নাগরিক সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে বলে অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে তরুণদেরকে গ্রামেই আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
ইশতেহারে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে নগর ও গ্রামের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করার উদ্দেশ্যে কৃষিবিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতিকীকরণের ব্যবস্থা, কুটির শিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল রূপান্তর সাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে অঙ্গীকার যুক্ত করেছিলেন। গ্রামকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির কেন্দ্রীয় দর্শন হিসেবে বিবেচনা করে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বিশেষ গুরুত্বসহকারে এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
প্রতিটি উপজেলায় রাস্তাঘাট উন্নত ও সম্প্রসারিত হয়েছে, যা প্রতিটি গ্রামকে উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে এবং উপজেলার সঙ্গে জেলা সদর ও জাতীয় সড়ক যুক্ত রয়েছে। প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ সুনিশ্চিত হয়েছে। সুপেয় পানি এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে, যা আরও উন্নত ও সম্প্রসারিত করা হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যয়ভার সরকার গ্রহণ করেছে। বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকের বেতন-ভাতার জন্য আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
উপজেলাগুলোতে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ১০০ শয্যাতে উন্নীত করা হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবাকে গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সেবাকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। গ্রামের তরুণ সমাজ এই সেবার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে। প্রত্যন্ত গ্রামের জনগণ এই সেবার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে যোগাযোগ করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি স্বেচ্ছা নির্বাসনে?
যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণের ফলে গ্রামীণ উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থা গতিপ্রাপ্ত হয়েছে। কৃষি উপকরণ সহজলভ্য ও কৃষিপণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে। গ্রামীণ চাহিদা মেটানোর জন্য কৃষি প্রযুক্তির সম্প্রসারণ এবং কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশ ত্বরান্বিত হচ্ছে। কৃষিজ ও অকৃষিজ উভয় ক্ষেত্রে কর্মকাণ্ড বহুগুণ সম্প্রসারিত হয়েছে।
উন্নত রাস্তাঘাট, যোগাযোগ, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার ও দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক শহরের সব সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হবে। জ্বালানি সরবরাহ নির্ভরযোগ্য করার লক্ষ্যে গ্রুপ ভিত্তিতে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট ও সৌরশক্তি প্যানেল বসানোর উৎসাহ ও সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
গ্রাম পর্যায়ে কৃষিযন্ত্র সেবাকেন্দ্র, ওয়ার্কশপ স্থাপন করে যন্ত্রপাতি মেরামতসহ গ্রামীণ যান্ত্রিকায়ন সেবা সম্প্রসারণ এবং এ সবের মাধ্যমে গ্রামীণ যুবক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থানের কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হবে। এসব সেবার পাশাপাশি হালকা যন্ত্রপাতি তৈরি ও বাজারজাত করতে বেসরকারি খাতের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ এবং উপকরণে বিনিয়োগ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
গ্রামে অর্থনৈতিক বিকাশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও বিনোদনমূলক কর্মসূচি বৃদ্ধি করা হবে। গ্রামের তরুণ যুবসমাজের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা কমাতে গ্রামেই আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তরুণদের কৃষি, শিল্প ও ব্যবসায় উৎসাহ বাড়াতে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
শহরের সব নাগরিক সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করছে সরকার। এটি গ্রামের জীবন ও অর্থনীতি বদলে দেয়ার ভাবনা হিসেবে হাতে নিয়েছে সরকার। ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ শীর্ষক এ মেগা কর্মসূচির অধীনে সড়ক যোগাযোগ, ইন্টারনেট সংযোগসহ টেলি যোগাযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার মতো অনেকগুলি লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
গ্রামের অনেক জমি অনাবাদি রয়ে যাচ্ছে, অনেক পুকুর রয়েছে যেখানে মাছ চাষ হয় না। গ্রামীণ সড়কের দু’পাশে ফলজ বা বনজ গাছ নেই। বাড়ির আঙ্গিনা উৎপাদনমুখী কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয় না। উদ্বুদ্ধকরণ, তথ্য ঘাটতি এবং দক্ষতা ও প্রযুক্তির অভাবে গ্রামীণ এলাকার মানবসম্পদসহ যে প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে তার অনেকাংশে অপচয় হচ্ছে।
এই কর্মসূচির আওতায় যৌথতার ভিত্তিতে শস্য চাষ ছাড়াও প্রতিটি গ্রামে একটি করে মৎস্য ও ডেইরি খামার স্থাপন করা হবে। প্রতিটি গ্রামে একটি কমিউনিটি ভবন স্থাপন করা হবে। যেখানে উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণে ক্ষুদ্র পর্যায়ের সংরক্ষণাগার থাকবে।
শহরের মতো গ্রামেও আবাসনের জন্য ফ্ল্যাট সুবিধা, ইউনিয়নের রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, পানি ও স্যানিটেশন এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
কাউকে পেছনে ফেলে না রেখে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি অদম্য বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন দেশে নগর ও গ্রামের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করার উদ্দেশ্যে কৃষিবিপ্লব, গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতায়ন, কুটিরশিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল পরিবর্তন সাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে শুধু অঙ্গীকারই করেননি, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদে তা অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তিনি স্থায়ী ও দৃঢ় প্রত্যয়নে অঙ্গীকার করেছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপলব্ধি করেছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, অর্থাৎ আমাদের এই দেশ অপার সম্ভাবনাময় একটি দেশ। তিনি তাঁর মেধা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। তিনি দেখলেন সব সুযোগ-সুবিধা শহরকেন্দ্রিক। তিনি বাংলাদেশের গ্রামগুলোকে আধুনিক ও পরিকল্পিত গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখলেন। কাউকে পেছনে ফেলে না রেখে এগিয়ে যাওয়া এই নীতি ও আদর্শকে সামনে রেখে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: অবাধ নির্বাচনের বাধা কারা?
প্রতিটি গ্রামে উন্নত রাস্তাঘাট, যোগাযোগ সুবিধা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা ও উন্নত চিকিৎসা সুবিধা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, উন্নত পয়োনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কম্পিউটার ও দ্রুত গতির ইন্টারনেট সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মানসম্মত ভোগ্যপণ্যের বাজার, ব্যাংকিং সুবিধা, গ্রামীণ কর্মসংস্থান, কমিউনিটি স্পেস ও বিনোদনের ব্যবস্থা সম্প্রসারণের মাধ্যমে শহরের সুবিধা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বিবিএসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের শতকরা ৬৪ দশমিক ৯৬ ভাগ মানুষ গ্রামে বসবাস করে। এর মধ্য থেকে প্রতি বছর শতকরা সাত দশমিক ছয় ভাগ মানুষ গ্রাম থেকে শহরে চলে আসে। এতে করে প্রতি বছরই শহরের ওপর বাড়তি জনসংখ্যার চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নাগরিক সুবিধা দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। নগরবাসী তাদের প্রাপ্য ন্যূনতম নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ২০৪১ সালে দেশের জনসংখ্যা হবে কম-বেশি ২২ কোটি। দেশে বর্তমানে ০.৫-১ শতাংশ হারে কৃষিজমি কমছে। এর বড় একটি অংশ বসতভিটায় রূপান্তরিত হচ্ছে। কৃষিজমি কমার কারণে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। এছাড়া গ্রামের জীববৈচিত্র্য নষ্ট হবে। তাই জনবহুল গ্রামগুলোয় শহরের সেবা নিশ্চিত করা গেলে মানুষের শহরে আসা কমে যাবে।
গ্রামীণ কৃষির উদ্বৃত্ত শ্রমিকরা পরবর্তী বছরগুলোয় আরও আধুনিক সেবা খাতে নিয়োজিত হওয়ার মাধ্যমে তাদের পেশা পরিবর্তন করছে। এ সকল উদ্বৃত্ত শ্রমিকরা প্রাথমিকভাবে গ্রামীণ ও নগরের বাণিজ্য, পরিবহন ও ব্যক্তিগত সেবামূলক কার্যক্রমে জড়িত হয়। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় গ্রামীণ কৃষি খাতের অনেক শ্রমিক চাকরি নিয়ে চলে যাচ্ছে। ফলে গ্রামীণ কৃষি শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে গ্রামীণ মানুষের জীবনমান আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশের আজ নানা ক্ষেত্রে অনেক অর্জন! বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক হিসাবে বিশ্বব্যাপী আমাদের যে অবাধ বিচরণ, পারিপার্শ্বিক নানা প্রতিকূলতা দূর করে উন্নয়নের মহাসড়কে আমাদের আজ যে দৃপ্ত পদচারণা তার সবই বঙ্গবন্ধুর অবদান। আমরা যদি একটি স্বাধীন দেশ না পেতাম তাহলে আজও পাকিস্তানের যাঁতাকলে পিষ্ট হতে হতো, নিষ্পেষিত হতে হতো। স্বাধীন দেশ পেয়েছি বলেই আমরা স্বাধীনভাবে সব কিছু চিন্তা করতে পারি।
আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে আমরা মাথা উঁচু করে চলতে পারি। কারও কাছে আমরা মাথা নত করবো না, কারও কাছে মাথা নত করে আমরা চলব না। আমাদের যতটুকু সম্পদ আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বারবার বলেছেন, সেই সম্পদটুকু কাজে লাগিয়েই বিশ্বসভায় আপন মহিমায় আমরা গৌরবান্বিত হবো, নিজেদের গড়ে তুলব এবং সারা বিশ্বের কাছে আমরা মাথা উঁচু করে চলব। এটাই হবে এ দেশের মানুষের জন্য সবদিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এভাবেই এগিয়ে যাবে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সেই সমৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে। আশ্রয়ণ প্রকল্প, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়নের সুফল জনগণের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন এবং জনগণকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন তিনিই জাতির পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার দৃপ্ত অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে চলছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করে ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে পরিণত হবে।
ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন এবং সহজেই নাগরিক সেবা প্রাপ্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবস্থাপনা, কর্মপদ্ধতি, শিল্প-বাণিজ্য ও উৎপাদন, অর্থনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনধারা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালনা করার লক্ষ্যে কাজ করছে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে প্রযুক্তি যেমন করে সহজলভ্য হয়েছে, তেমনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছের প্রযুক্তিনির্ভর সেবা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সব নাগরিক সেবা ও জীবনযাপন পদ্ধতিতে প্রযুক্তি হয়ে উঠেছে এক বিশ্বস্ত মাধ্যম।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মোকাবিলায় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তরুণরা গড়ে তুলছে ছোট-বড় আইটি ফার্ম, ই-কমার্স সাইট, অ্যাপভিত্তিক সেবাসহ নানা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইটসহ কয়েকটি বড় প্রাপ্তি বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এখন স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা। আমার গ্রাম আমার শহরের মাধ্যমে এগুবে আরো বহুদূর। সকল নাগরিক সুবিধা এখন পাওয়া যাবে গ্রামে।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও গবেষক।