Togel Online

Situs Bandar

Situs Togel Terpercaya

Togel Online Hadiah 4D 10 Juta

Bandar Togel

বাংলাদেশের সমৃদ্ধি অর্জন


হীরেন পন্ডিত: ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এ জন্য রূপকল্প- ২০৪১ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে এসেছে। দেশ এখন খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, শাকসবজি, ফলসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্যের উৎপাদন ব্যাপক হারে বেড়েছে। দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ১৮ শতাংশে। সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৫.২ শতাংশ হয়েছে। মাতৃমৃতু্য ও শিশুমৃতু্যর হার কমেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনা করে আসছে বলেই এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, ইতিহাসের মহানায়ক ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়ে জনগণকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তিনি বাঙালি জাতিকে নির্দেশ দেন, ‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক।’ এই সম্মোহনী ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালি জাতি অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে এবং ত্রিশ লাখ শহীদের তাজা রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে দীর্ঘ ৯ মাসব্যাপী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ২৩ বছরের সংগ্রাম ও ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের পর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদারদের পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে আনা হয়।

বঙ্গবন্ধু যদি সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা না করতেন, তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সমর্থন পেত না এবং ভারত, রাশিয়া ও বিশ্ব বিবেকের সমর্থন ছাড়া দেশের স্বাধীনতা ৯ মাসে সম্ভব হতো না। পৃথিবীর কোনো দেশেই তা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া কেউ চাইলেই কোনো দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারে না। স্বাধীনতা ঘোষণা করার ক্ষমতা বা অধিকার থাকতে হবে। যেই দেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করবে তার অবশ্যই দেশে ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন থাকতে হবে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী দলের নেতা হিসেবে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবেরই স্বাধীনতা ঘোষণা করার অধিকার ছিল।

বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। বিমান থেকে অবতরণের পরপরই উলেস্নখ করেন, ‘বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খেলে স্বাধীনতা ফলপ্রসূ হবে না, এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না, যদি বাংলার মা-বোনেরা ভালো জামা-কাপড় না পায়, এ দেশের মানুষ, যারা আমাদের যুবক রয়েছে তারা চাকরি না পেলে আমার স্বাধীনতা পূরণ হবে না।’

১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছর পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলে দেশের উন্নয়ন আবার থমকে যায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বর্বরোচিত হত্যাকান্ড থেকে বেঁচে যান। দীর্ঘ ৬ বছরের নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে দেশে আসেন শেখ হাসিনা। তিনি শোককে শক্তিতে পরিণত করেন এবং দেশের মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার আদায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় অসম্পূর্ণ স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। তার গতিশীল নেতৃত্ব ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায়, সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়ন, পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল চালু, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, কৃষি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, গার্মেন্টস শিল্প, ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি আয়ের কারণে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে।

শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে দেশের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ অন্ধকারে ধাবিত হয়। সেই অন্ধকারকে তাড়াতে মশাল জ্বালিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। বাবার মতো শেখ হাসিনাও গণতন্ত্রে দৃঢ় বিশ্বাসী। তিনি এ দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন। দেশের দরিদ্র মানুষের কষ্টও তিনি গভীরভাবে অনুভব করেন। তিনি দেশের অর্থনীতি পরিচালনার দিকেও মনোনিবেশ করছেন।

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন তার কঠোর পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। তার হাত ধরেই এই দেশ অল্প সময়ের মধ্যে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মতো উজ্জ্বল উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে। একমাত্র তিনিই পারেন একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে। দেশকে সন্তানের চেয়ে বেশি ভালোবাসেন। বাবার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে হবে এই প্রত্যয় তাকে সামনে চলার উদ্দীপনা দেয়। একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও ভবিষ্যৎ আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। নতুন প্রজন্মেরও এটাই প্রত্যাশা। গত ১৫ বছরে দেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের সার্বিক কল্যাণ, উন্নয়ন ও মুক্তির পথ ও পথ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশে তার কোনো বিকল্প নেই। তিনি ২১ বছর পর জনপ্রিয় দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছেন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। বাংলাদেশের যে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির পাশাপাশি সব ধরনের শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়, অবিচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ বরাবরই রাজনৈতিকভাবে সোচ্চার ও প্রতিবাদী ছিল এবং এখনো সে কাজ করে যাচ্ছে। এই দল ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যের উন্নতি হয়। এই দলের জন্ম থেকে এ দেশের ইতিহাস সেই সত্যেরই নিদর্শন বহন করে। চরম দুঃসময়ে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর লাগাম তুলেছেন তিনি। গণতন্ত্রের সংগ্রামে তিনি দীর্ঘ পথ হেঁটেছেন। তিনি বারবার মৃতু্যর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। এই চেতনা ও উদ্যোগ তাকে দলকে আরো ঐক্যবদ্ধ করতে প্রেরণা দিয়েছে। সেই ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়ে ২১ বছর পর তিনি ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে দলকে ক্ষমতায় আনেন। তিনি ১০টি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত সমাজ গঠন, আবাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী এবং ডিজিটালাইজেশনকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৯তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ২৩তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। ২০২৬ সালে, বাংলাদেশ ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ এবং ২০৪১ সালে ‘উন্নত দেশ’ হিসেবে বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করবে। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তার বড় প্রমাণ হলো গত কয়েক বছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৯৬৫ ডলার। অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি। মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু উদ্বোধন দুটোই উন্নয়নের মাইলফলক।

শিক্ষা, যোগাযোগ অবকাঠামো, গ্যাস, বিদু্যৎ, নারী শিক্ষা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ১০০% বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা, বিনামূল্যে বই বিতরণ, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক কর্মসূচির আওতায় সফলভাবে মোকাবিলা করা। দুঃস্থ, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের, সহিংসতার শিকার নারী ও তালাকপ্রাপ্ত নারীদের সহায়তা, অটিজম, যুদ্ধাহত ও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা, আশ্রয়ণ প্রকল্প, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প, নারীর ক্ষমতায়ন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার একটি ভূমিকা রেখেছে। বিভিন্ন সেক্টরের সার্বিক উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা। দেশে দীর্ঘদিনের বিদু্যৎ সমস্যা- যা বিগত সরকারগুলো সমাধান করতে পারেনি, সরকার জনগণের দোরগোড়ায় বিদু্যৎ পৌঁছে দিয়েছে।

এই উৎপাদন শুধু গৃহস্থালির কাজেই ব্যবহৃত হয় না, বিদু্যৎ অন্যান্য খাতেও ব্যবহৃত হয়- যা দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে, সরকারের রাজস্বও বেড়েছে। আমাদের মতো জনবহুল দেশে সীমিত আবাদি জমির সতর্ক ব্যবহার বাঞ্ছনীয়। কৃষিপণ্য আমদানির ওপর আমাদের নির্ভরতা অনেকাংশে কমে গেছে। এই কৃষি বিপস্নবের ফলে ১৭ কোটি মানুষের দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে- যা দেশের জন্য খুবই ইতিবাচক দিক। আজকের কৃষি বিপস্নব আওয়ামী লীগের উদ্ভাবন। আমাদের রাজস্বের প্রধান উৎস, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়, তৈরি পোশাক এবং জনশক্তি রপ্তানি। ব্যক্তিমালিকানায় শুরু হলেও সরকারের আগ্রহের কারণে এ দু’টি খাত যথেষ্ট গতি পেয়েছে।

ফলে দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি গতি পেয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের বেকার সমস্যাও অনেকটাই সমাধান হয়েছে। কিছু পণ্য রপ্তানিযোগ্য- যা ব্যক্তিগত উদ্যোগ দ্বারা রপ্তানি করা যায় না, এ ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। বিদেশি ক্রেতাদের কাছে উৎপাদন পরিবেশকে গ্রহণযোগ্য করতে সরকার এবং মালিকদের এখনো অনেক কিছু করার আছে। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু থেকে বরাদ্দ বাতিল করলেও আওয়ামী লীগ সরকার এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়। সরকার তার অর্থায়নে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সেতুর অস্তিত্ব এখন আমাদের সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই সেতু আমাদের অর্থনীতিকে বদলে দিচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার অবকাঠামো নির্মাণের অঙ্গীকার করেছে। ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়েছে।

কাঙ্ক্ষিত এবং স্বপ্নের মেট্রোরেল ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে যাত্রা শুরু করে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মা সেতু রেল, কর্ণফুলী টানেল, এবং মাতারবাড়ী পাওয়ার স্টেশন সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৭টি পরিবারের ৩৫ লাখের বেশি মানুষকে মাথা পুনর্বাসন করা হয়েছে। প্রবাসে কাজ করছেন ১ কোটি ২২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৫৫ জন- যারা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে সহায়তা করছেন।

কোভিড-১৯ মহামারি থেকে জীবন বাঁচাতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছেন। আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় ১ম এবং বিশ্বে ৫ম স্থানে রয়েছি। দীর্ঘদিন দেশ শাসন করার সুযোগ পেয়ে তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন। এর স্বীকৃতি হলো এসডিজি পুরস্কার-২০২১। তিনি এ রকম অনেক স্বীকৃতি পেয়েছেন। এর আগে, তিনি কমনওয়েলথ অব নেশনস-এর তিনজন সবচেয়ে সফল এবং অনুকরণীয় নারী সরকার প্রধানদের একজন নির্বাচিত হয়েছিলেন।

দেশের ২৫টি জেলার ২০০টি সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। দেশের অনেক মহাসড়ক চার বা ততোধিক লেনে উন্নীত করা হয়েছে। অন্যগুলো চলছে। বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে এবং এখন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-২ এর কাজ চলছে। ডেল্টা পস্ন্যান-২১০০ আমাদের প্রজন্মকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে রক্ষা করতে এবং একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে প্রণয়ন করা হয়েছে। সারা বিশ্ব আজ এক অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অর্থনীতি যখন কোভিডের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি থেকে পুনরুদ্ধার করছিল, ঠিক তখনই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল এবং এই যুদ্ধটি কেবল অস্ত্রের যুদ্ধ নয়, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটি ভয়ানক অর্থনৈতিক যুদ্ধ।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এ জন্য রূপকল্প- ২০৪১ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে এসেছে। দেশ এখন খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, শাকসবজি, ফলসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্যের উৎপাদন ব্যাপক হারে বেড়েছে। দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ১৮ শতাংশে। সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৫.২ শতাংশ হয়েছে। মাতৃমৃতু্য ও শিশুমৃতু্যর হার কমেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনা করে আসছে বলেই এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে।

হীরেন পন্ডিত :প্রাবান্ধিক ও গবেষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

slot qris

slot bet 100 rupiah

slot spaceman

mahjong ways

spaceman slot

slot olympus slot deposit 10 ribu slot bet 100 rupiah scatter pink slot deposit pulsa slot gacor slot princess slot server thailand super gacor slot server thailand slot depo 10k slot777 online slot bet 100 rupiah deposit 25 bonus 25 slot joker123 situs slot gacor slot deposit qris slot joker123 mahjong scatter hitam

sicbo

roulette

pusathoki slot

orbit4d slot

pusatmenang slot

https://www.firstwokchinesefood.com/

orbit4d

https://www.mycolonialcafe.com/

https://www.chicagotattooremovalexpert.com/

fokuswin

slot bet 200

pusatmenang

pusatplay

https://partnersfoods.com/

https://www.tica2023.com/

https://dronesafeespana.com/

https://mrzrestaurants.com/

slot server luar