Togel Online

Situs Bandar

Situs Togel Terpercaya

Togel Online Hadiah 4D 10 Juta

Bandar Togel

চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করছে

হীরেন পণ্ডিত
আসলে মানুষের প্রত্যাশার শেষ নেই। তবে আওয়ামী লীগের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অন্য যে কোনো দলের চেয়েই বেশি। জনগণ মানবিক মূল্যবোধ, গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার এবং দেশ পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কাছে প্রত্যাশা করে। আসলে, প্রত্যাশা বেশি হলে, হতাশার কিছু কথা থাকে। হতাশা ঘটে যখন প্রত্যাশা এবং অর্জনের মধ্যে ব্যবধান থাকে। হতাশা কাটিয়ে উঠতে, সবাইকে অবশ্যই মানুষের প্রত্যাশার কাছাকাছি থাকতে হবে।
দেশের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে গণতান্ত্রিক চর্চার বহিঃপ্রকাশ। এই দলটি বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এবং দেশের উন্নয়নের জন্য অনেক অবদান রেখেছে। এই দল জাতিকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছে। অনেক উন্নয়ন উপহার দিয়েছে। তবে এর চেয়েও আওয়ামী লীগের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক বেশি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এখন এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে, অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং সরকার করোনা মহামারীকে ভালোভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সামাল দিয়েছে। এ ছাড়া আরো অনেক ইতিবাচক অর্জনও রয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ঘাটতি রয়েছে।
১৪ বছর ক্ষমতার মধ্যে থেকে দলের অনেক নেতাই তৃণমূল কর্মীদের কাছ থেকে দূরে সরে গেছেন বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। আবার অনেকের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা অপবাদ, অপপ্রচার। অপপ্রচারের ডামাডোলের মধ্যে আওয়ামী লীগের বেরিয়ে আসা কিভাবে বা নতুন নেতৃত্ব কি ভাবছেন তা নিয়ে আলোচনা বিস্তর, এ নিয়ে কৌতূহলও কম নয়।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রায় ৪২ বছর এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি নানাবিধ সংকট ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দলকে সংগঠিত করেছেন, ক্ষমতায় এনেছেন। কেবল দলই নয়, সারাদেশ ও দেশের মানুষকে তিনি জানেন এবং বুঝেন। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের রয়েছে তাঁর ওপর অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস। সভাপতি শেখ হাসিনা দলের হাল ধরে আছেন। তিনি দলে থাকবেন সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা-এটাই।
আমরা বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির কথা শুনি। আর্থিক অনিয়ম দূর করতে আওয়ামী লীগকে পদক্ষেপ নিতে হবে। আরও মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে দাঁড়ানো, গণতান্ত্রিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখা এবং গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অঙ্গীকার বিশেষ করে এই তিনটি ক্ষেত্রে আমরা প্রত্যাশা থেকে একটু দূরে। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী এই স্থান পূরণ করতে হবে এবং এটাও সম্ভব নয় যে অন্য দল এসে সব রাতারাতি পরিবর্তন করবে। তবে, প্রত্যাশা এবং অর্জনের মধ্যে ব্যবধান রয়ে গেছে। এটা সামাজিক এবং মানবিক মর্যাদা সম্পর্কে; এটা নির্বাচন সম্পর্কে. সরকার এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। জনগণের প্রত্যাশা সরকার পূরণ করবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর করতে সচেষ্ট হবে।
আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। সেদিক থেকে আওয়ামী লীগের মধ্যে সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবী জনগণের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এই দূরত্ব দূর করতে হবে। অনেকে অভিযোগ বা আক্ষেপ করেন, এই বলে যে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ যতটা জনগণের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো, তার চেয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ দূরে সরে গেছে। ত্যাগী নেতারা ব্যাকফুটে রয়েছেন। এখন আধিপত্য রয়েছে ব্যবসায়ী, সাবেক আমলা ও নব্য আওয়ামী লীগারদের হাতে। তবে এগুলোতে অনেকের আক্ষেপ থাকতে পারে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখেই সব কিছু বিচার করতে হবে। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে এবং যারা রাষ্ট্রের প্রশাসনে ভূমিকা রাখায় অভিজ্ঞতা নিয়ে সাবেক সরকারী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত আছেন, এটা দেশ পরিচালনায় জন্য একটা ইতবিাচক ভ‚মিকা রাখছে তা হলফ করেই বলা যায়। তবে এই বিভিন্ন প্রবণতাগুলোর সমন্বয় করতে পারলে ভবিষ্যতের জন্য আওয়ামী লীগের জন্য ভালো হবে এবং জনসেবায় আওয়ামী লীগ আরো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে।
বিভিন্ন এলাকায় ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। সরকার কম দামে পণ্য সরবরাহের চেষ্টা করছে এটা ইতিবাচক। কিন্তু যখন আপনি এই ট্রাকের পিছনে একটি দীর্ঘ লাইন দেখতে পাবেন, তখন এর পরিস্থিতিকে আরো গভীরভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “কাজ করলে সমালোচনা আসবে, ষড়যন্ত্র থাকবে, কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অবশ্যই ঐক্যবদ্ধভাবে সেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এগিয়ে যাবে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাÐ তুলে ধরে শেখ হাসিনা আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করব।
আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করেছে। এর আগে নির্বাচন কমিশনের আর্থিক সামর্থ্য ছিল না। পুরোটাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে রাখা ছিল, যা আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সেজন্য তাদের বাজেট থেকে সরাসরি টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান তুলে ধরে সম্প্রতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাবা রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আমি চারবারের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের পরিবার দুর্নীতি করার প্রয়োজন নেই। আমরা দেশের মানুষকে দিতে এসেছি। আমি মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি, আমরা দিতে এসেছি নিতে নয়। সব সমস্যা কাটিয়ে আজ আমরা দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছি। তার মধ্যে বাধা ছিল, করোনা মহামারি, তারপর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা নিষেধাজ্ঞা চাই না। সব দেশ স্বাধীন। তাদের স্বাধীনভাবে চলার অধিকার আছে। সব দেশেরই এই অধিকার থাকা উচিত। যুদ্ধ মানুষের ক্ষতি করে, আমরা যুদ্ধের ভয়াবহতা জানি। ‘
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্তে¡ও বাংলাদেশের বর্তমান মাথাপিছু আয় ২৮২৪ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ যখন তার স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে, দেশটি উন্নত মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। কারণ এটাই আওয়ামী লীগ এবং এটাই আওয়ামী লীগের শিক্ষা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার টানা তিন মেয়াদে ১৪ বছর পূর্ণ করেছে। এ সময়ে সরকারের সাফল্য ও অর্জনও কম নয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। সরকার বিরোধীরা দেশে গণতন্ত্রের অভাব নিয়ে ক্রমাগত অভিযোগ করে আসছে। অন্যদিকে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন কোনো প্রশ্ন নেই। বৈশ্বিক সংকটকালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং দেশকে খুব ভালোভাবে পরিচালনা করছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবিশ্বাস্য বিজয়ের পর টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে একগুচ্ছ নতুন মুখ নিয়ে নতুন সরকার গঠন করেছেন। ২০২৪ সালের ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের এক বছর আগে, দেশের মানুষ অবশ্যই তাদের অর্জন-অপ্রাপ্তির তুলনা করতে বসবে। শেখ হাসিনার ১৪ বছরের দেশ পরিচালনায় বাংলাদেশ কী পেল?
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। উদ্বোধনের অপেক্ষায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল। মহাকাশেও বাংলাদেশ তার অবস্থান ঘোষণা করেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই দুই দেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় চুক্তির ফলে বদলে গেছে বাংলাদেশ ও ভারতের মানচিত্র।
মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু উদ্বোধন দু’টিই উন্নয়নের মাইলফলক। সফলভাবে কারোনা মহামারি মোকাবেলা, শিক্ষা, যোগাযোগ অবকাঠামো, গ্যাস, বিদ্যুৎ, নারী শিক্ষা, চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা শতভাগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সামাজিক কর্মসূচির আওতায় পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী, অসহায়, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের সহায়তা, অটিজম, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদান, আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, নারীর ক্ষমতায়নসহ ও বিভিন্ন সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। একটি দেশের উন্নয়নে বিদ্যুতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিদ্যুতের উৎপাদন ২৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা ও প্রায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন, রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে আনয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, গড় আয়ু প্রায় ৭৩ বছরে উন্নীত করা, জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন, সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত করা, বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া, মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতিদান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও চিকিৎসাব্যবস্থার আধুনিকায়ন, প্রতি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ, নারী নীতি প্রণয়ন ও নারীর ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও আইসিটি খাতে বিপ্লব সাধন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় অসামান্য সাফল্যে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে ও বিশ্বে পঞ্চম স্থানে আসীন করা, দেশকে উন্নয়নশীল বিশ্বের কাতারে শামিল করাসহ বাংলাদেশের অসংখ্য কালোত্তীর্ণ অর্জনের কারিগর সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারেরই অবদান।
একটি দল টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার উদাহরণ বিশ্বে বিরল। বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। গত ১৪ বছরে অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের একটি নতুন ধারা তৈরি হয়েছে। নিঃসন্দেহে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নিরঙ্কুশ বিজয়র পেছনে তরুণ ভোটারদের সমর্থন প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের তৈরি নির্বাচনী ইশতেহারের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তরুণ। এখন এই বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। ইশতেহারে বলা হয়েছে, তরুণদের প্রত্যাশিত কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকারকে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে।
তবে প্রাতিষ্ঠানিক ভঙ্গুরতা দূর করতে হবে। সরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মানসম্মত পরিষেবার ব্যবস্থা করতে হবে। সেবাগুলোর নিয়মিত মনিটরিং নিশ্চিত করা যে কাজগুলো মানসম্মত হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষা সম্প্রসারণের অব্যাহত ধারার বাইরে কারিগরি শিক্ষা এবং উপানুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। বিদেশে শ্রমনির্ভর মানবসম্পদ রপ্তানির পাশাপাশি দক্ষ কর্মী পাঠানোর বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
তরুণদের দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের পথ তৈরি না করলে ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হবে। উচ্চ শিক্ষিত ও উচ্চ দক্ষ যুবকদের বিদেশে চাকরি সৃষ্টির কথা ভাবতে হবে। বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতার জন্য মানসম্পন্ন ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য প্রকৌশল, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কৃষি শিক্ষার মানকে আরও গতিশীল ও সময়োপযোগী করতে হবে। একই সঙ্গে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’ স্থাপন করতে হবে।
গত বছর, ২০২১-২৫ সময়ের জন্য অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়েছে, যার বাস্তবায়নের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪ লাখ ৯৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। এ সময়ে ১ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পর দারিদ্র্যের হার ১৫ দশমিক ৬ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে আসবে। গত বছর ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৮.৫১ শতাংশে।
ঈর্ষণীয় অগ্রগতির কারণে বিশ্ব আজ বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বাংলাদেশকে বলা হয় উনয়নের রোল মডেল। বিভিন্ন বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশ এগিয় যাচ্ছে। কিছু সূচকে, এটি দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থান দখল করেছে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৮তম বৃহত্তম অর্থনীতি। ২০২২ সালে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫তম। স্বভাবতই এই চার বছরসহ টানা তিন মেয়াদের হিসাব তুলনা করে ইতিবাচক ফল পাবে দেশের মানুষ।
তবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা ভাড়া না দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানিয়েছেন দলটির তৃণমূল নেতারা। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে জেলা পর্যায়ের নেতারা এ দাবি জানান। তারা অভিযোগের সুরে বলেন, কেউ দলীয় আত্মা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন, কেউ দল বিক্রি করছেন।
দলের নেতা-কর্মীদের নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, আগামী নির্বাচনে দলকে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করতে হবে। তৃণমূল নেতাদের মুখে উঠে আসে এই কথাগুলো। তবে জনগণের প্রত্যাশা কতোটা পূরণ করতে পেরেছে আওয়ামী লীগ সেটা জনগণই বলবে। তবে নিরলস প্রচেষ্টা চলুক। সবার প্রত্যাশা এগিয়ে যাক, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠুক।
হীরেন পণ্ডিত, প্রাবন্ধিক ও গবেষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

slot qris

slot bet 100 rupiah

slot spaceman

mahjong ways

spaceman slot

slot olympus slot deposit 10 ribu slot bet 100 rupiah scatter pink slot deposit pulsa slot gacor slot princess slot server thailand super gacor slot server thailand slot depo 10k slot777 online slot bet 100 rupiah deposit 25 bonus 25 slot joker123 situs slot gacor slot deposit qris slot joker123 mahjong scatter hitam

sicbo

roulette

pusathoki slot

orbit4d slot

pusatmenang slot

https://www.firstwokchinesefood.com/

orbit4d

https://www.mycolonialcafe.com/

https://www.chicagotattooremovalexpert.com/

fokuswin

slot bet 200

pusatmenang

pusatplay

https://partnersfoods.com/

https://www.tica2023.com/

https://dronesafeespana.com/

https://mrzrestaurants.com/

slot server luar