আধুনিক প্রযুক্তিতে সবাইকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে


হীরেন পণ্ডিত: আজকে মানুষ যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, বলতে গেলে প্রযুক্তির মাধ্যমে পুরো বিশ্বটা সবার হাতের নাগালে চলে এসেছে। মানুষ বিশ্বকে জানার সুযোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন আর অন্ধকারে পড়ে থাকছে না। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা বিশ্বে এখন অবদান রাখছে।
এটা প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় অবদান। প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে বলা যায় যথেষ্ট সফল হয়েছি। সেই সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর যে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছিল সেখানে বাংলাদেশ যথেষ্ট সফলতা পেয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গঠনই সরকারের পরবর্তী লক্ষ্য জানিয়েছেন নীতিনির্ধারকরা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে অত্যধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ পরিণত করতে ডিজিটাল সংযোগই প্রধান হাতিয়ার হবে আমাদের সামনে।
তবে প্রযুক্তির ক্ষেত্র এমনকি কর্মক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকা। আর প্রযুক্তির ব্যবহারে নারী পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ নারীদের মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা এখনও কম। ৬১ শতাংশ নারীর মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ আছে, যেখানে পুরুষের হার ৮৬ শতাংশ। ৬০ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়েছে ডিজিটাল সুযোগের অভাবে। প্রযুক্তির সুযোগ বৃদ্ধি করতে পারলে নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে বলে মনে করেন বিজ্ঞজনরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবিক ও মর্যাদাপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে সমতা এনে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের কাজগুলো চালিয়ে যেতে হবে। শ্রমজীবী নারীরা ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে এখনও পিছিয়ে আছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাসহ নানা দক্ষতার অভাবে। গার্মেন্টসে নারী শ্রমিকের সংখ্যা কমছে অটোমেশনের কারণে। আধুনিক প্রযুক্তিগুলো নারীবান্ধব করতে হবে, তাদের ব্যবহারের সুযোগ ও সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

পুরুষের চেয়ে প্রায় ১৩ শতাংশ কম নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ইন্টারনেট ব্যবহার না করার পেছনে ৬৮ শতাংশ নারীই স্বীকার করেন তাদের ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয় না, কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানেন না। নারীকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করা জরুরি। নারী-পুরুষের সমতার পথে সৃষ্টি হওয়া বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় প্রযুক্তির ব্যবহারে সমাজ ও মানুষকে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ১৫টি সংস্থার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন-আইটিইউর সদস্য পদ লাভ করে। আর্থ-সামাজিক জরিপ, আবহাওয়ার তথ্য আদান-প্রদানে আর্থ-রিসোর্স টেকনোলজি স্যাটেলাইট প্রোগ্রাম বাস্তবায়িত হয় তাঁরই নির্দেশে। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়ায় স্যাটেলাইটের আর্থ-স্টেশনের উদ্বোধন করেন। বিজ্ঞান, প্রযুক্তিবিদ্যা ও কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদার মতো একজন বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট প্রণয়ন এবং শিক্ষায় প্রযুক্তি ব্যবহার করার লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা ছিল তাঁর অত্যন্ত সুচিন্তিত ও দূরদর্শী উদ্যোগ। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও বিকাশে গৃহীত নানা উদ্যোগ ও কার্যক্রমের দিকে তাকালে দেখা যাবে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই রচিত হয় একটি আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের ভিত্তি, যা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বিপ্লবে অংশগ্রহণের পথ দেখায়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ। মূলত এটি একটি ধারণাপত্র ও কর্মকৌশল, যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে ও হবে বর্তমান সরকার কর্তৃক। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ‘ভিশন-২০২১’-এর মূলভিত্তি হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। ব্যাপক ও বহুমুখী উন্নয়নে একের পর এক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন শুরু করা হয় একই সঙ্গে একাধিক মেগা প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে। নির্বাচনি অঙ্গীকার অনুযায়ী সরকার ইতিমধ্যে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি দিয়েছে এবং স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করেছে মহাকাশে। দ্বিতীয় স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-২-এর কাজ চলছে। বর্তমানে ১৭ কোটি মানুষের হাতে ১৮ কোটি ৬০ লাখ মোবাইল সিম ব্যবহৃত হচ্ছে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে। আজকালকার যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ। ডিজিটাল বাংলাদেশ সরকার বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ফাইবার অপটিক দেওয়া হয়েছে। অনলাইনে যোগাযোগ করা যায়। আমাদের করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে কাজে লেগেছে ডিজিটাল সিস্টেম। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ আমরা উৎক্ষেপণ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল কার্যক্রম আরও বেগবান হয়েছে। কাজেই আমাদের সব কাজেই এখন ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে।

ডিজিটাল পণ্য বিনিয়োগ ও রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আমাদের প্রযুক্তির অগ্রগতি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল চাবিকাঠি হলো ডিজিটাল সংযোগ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজের জন্য ডিজিটাল সংযোগ মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে। সরকার বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট, ভার্চুয়াল বাস্তবতা, উদ্দীপিত বাস্তবতা, রোবটিকস অ্যান্ড বিগ-ডাটা সমন্বিত ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে চায়। তরুণ প্রজন্ম এখন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করার পর সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। স্যাটেলাইটের অব্যবহৃত ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে এবং বাংলাদেশ এখন বিশ্বের স্যাটেলাইট পরিবারের ৫৭তম গর্বিত সদস্য। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যে বহুমুখী কার্যক্ষমতা সম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ স্থাপনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করতে যাচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৩৪০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ক্ষমতা অর্জন করেছে। ২০২৩-এর শেষ দিকে ব্যান্ডউইথের সক্ষমতা ৭২০০ জিবিপিএসে উন্নীত করা হবে। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের পর এটি ১৩,২০০ জিবিপিএসে উন্নীত হবে। সৌদি আরব, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া ও ভারতকে ব্যান্ডউইথ লিজ দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতি বছর ৪.৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে। সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে প্রতিটি ইউনিয়নে ১০ গিগাবাইট ক্ষমতা নিশ্চিত করা হয়েছে, যা জনগণ ও সরকারি অফিসগুলোতে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সরবরাহ করতে সহায়তা করছে। সারা দেশে মোট ৮ হাজার ৬০০টি পোস্ট অফিসকে ডিজিটাল করা হয়েছে।

গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ডিজিটাল বৈষম্য এবং দামের পার্থক্য দূর করা হয়েছে। প্রত্যন্ত এবং দুর্গম এলাকায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার সারা দেশে এক দেশ এক রেটের একটি সাধারণ শুল্ক চালু করা হয়েছে। সারা দেশে বৈষম্যহীন এক দেশ এক রেট শুল্ক ব্যবস্থা চালু করার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ অ্যাসোসিও (এএসওসিআইও)-২০২২ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
তবে আমাদের ডিজিটাল জগতে বাংলা ভাষার ব্যবহার বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পের আওতায় সফটওয়্যার ও টুলসের ব্যবহার শুরু হলে তা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে বাংলা ভাষাকে বৈশি^করণের সুযোগ সৃষ্টি করবে। ডিজিটাল ডিভাইসে আরও ভালোভাবে এবং সহজে বাংলা ভাষায় লেখাপড়া ও অনুবাদ সহজ হবে।

যেসব দেশ তথ্য-প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রয়োগে এগিয়ে আছে, তারা সবাই প্রযুক্তিতে মাতৃভাষার ব্যবহার করছে। চীন আমাদের সামনে বড় উদাহরণ হতে পারে। চীনা ভাষার অক্ষরগুলো অত্যন্ত জটিল কিন্তু তারা থেমে থাকেনি। প্রযুক্তিতে মাতৃভাষা ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়ায় বর্তমানে চীনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বহু আগেই ৫০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে আমাদের দেশে প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার চর্চা হলেও এ মুহূর্তে বাংলায় ভালো কনটেন্টের অভাব রয়েছে। তাই দেশের ১৮ কোটি ৬০ লাখের বেশি মোবাইল ফোন, ১৩ কোটিরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ৫ কোটির বেশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর কথা মাথায় রেখে মাতৃভাষায় ভালো ভালো কনটেন্ট ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হবে। আর তা করা হলে শুধু অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও মানুষে মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধি, জ্ঞানার্জন এবং তথ্য ও সেবা পাওয়া নিশ্চিত করবে না, মাতৃভাষাকে বাঙালির মাঝে চিরঞ্জীব করতে সহায়তা করবে। সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ৪টি ভিত্তি সফলভাবে বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।

এগুলো হলো-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। এর পাশাপাশি হাতে নেওয়া হয়েছে ২১০০ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা কেমন হবে-সেই পরিকল্পনা। স্মার্ট বাংলাদেশে সব কাজ, সম্পাদন করা হবে প্রযুক্তির মাধ্যমে। যেখানে প্রত্যেক নাগরিক প্রযুক্তি ব্যবহারে হবে দক্ষ। এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে সার্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম, যার চূড়ান্ত লক্ষ্য ক্যাশলেস সোসাইটি। সরকার ইতিমধ্যে দেশে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, আইসিটি অবকাঠামো ও কানেক্টিভিটি, ই-গভর্নমেন্ট এবং ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশনের ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-২ উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ সরকারি সেবা অনলাইনে প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হয়েছে। এর জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে আলাদা তহবিল।

এর পাশাপাশি আইডিয়া প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ), শতবর্ষের শত আশা এবং স্টার্টআপ সার্কেল সৃষ্টি করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। বিনিয়োগের জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড নামে সরকার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি পরিচালনার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। সাইবার নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া ও সার্ক দেশগুলোর মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে দেশের গ্রামগুলোকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত শহর হিসেবে গড়ে তোলার নীতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। যেখানে গ্রামের প্রকৃতি ও পরিবেশ সর্বোপরি চাষাবাদ-ফলমূল-সবজির বাগান-খামারের পাশাপাশি পাওয়া যাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা। তবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকেরও সবিশেষ দায়িত্ব ও করণীয় রয়েছে। প্রত্যেক নাগরিককে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে নিজেকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার উপযোগী করে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি যার যার অবস্থান থেকে দায়বদ্ধ থাকতে হবে। তা না হলে স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল পাওয়া যাবে না সর্বাংশে ও সর্বতোভাবে।

সরকার আগামীর বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, যেখানে প্রতিটি জনশক্তি স্মার্ট হবে। সবাই প্রতিটি কাজ অনলাইনে করতে শিখবে, ইকোনমি হবে ই-ইকোনমি, যাতে সম্পূর্ণ অর্থ ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল ডিভাইসে করতে হবে। ‘আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মযোগ্যতা’ সবকিছুই ই-গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে হবে। ই-এডুকেশন, ই-হেলথসহ সবকিছুতেই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা হবে। ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা তা করতে সক্ষম হব এবং সেটা মাথায় রেখেই কাজ চলছে।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *